ঠিক এই বয়সেই মেয়েরা কামিনী হয়!

ঠিক এই বয়সেই মেয়েরা কামিনী হয়!

গর্ভধারণের সম্ভাবনা যত কমে আসে তত বাড়তে থাকে যৌন উদ্দীপনা। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, উর্বরতার হার কমে এলে বেশির ভাগ নারীর মনে তীব্র যৌন আকাঙ্খা জাগে।


নিভে যাওয়ার আগে জ্বলে ওঠে দীপশিখা। তেমনই যৌবনের সূর্য কিঞ্চিত্‍ ঢলে পড়লে গতি পায় যৌনতা। ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস-অস্টিনের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, ২৭ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীর মধ্যে যৌন কামনা তীব্রতম রূপে দেখা যায়। চিকিত্‍সাশাস্ত্র মতে, এই বয়সে নারীর সন্তানধারণের স্বাভাবিক ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমে আসে। অথচ সেই সময় জেগে ওঠে প্রবল যৌন কামনা।

তিরিশ থেকে চল্লিশের কোঠায় পৌঁছনোর পর শ্লথ হয়ে পড়ে যৌবন-ঘড়ির কাঁটা। শরীরের সঙ্গে সঙ্গে মনও জানান দেয় আসন্ন প্রৌঢ়ত্বের হাতছানি। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সময় যেমন দেখা দেয় মিড-লাইফ ক্রাইসিস, নারীমনে ঠিক তখনই তীব্র যৌনতৃষ্ণার উদয় হয়। যৌবনের শেষ পর্বে এসে শরীরী উন্মাদনার প্রতিটি বিন্দু পান করতে সে মরিয়া হয়ে ওঠে। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে শয়নে স্বপনে যৌন ইচ্ছা জাগে তো বটেই, অনেকে ঘন ঘন যৌন মিলন এমনকি কামতাড়িত হয়ে নিষিদ্ধ সম্পর্কের ফাঁদেও অনেকেই পা দেন।

মনোবিদ জুডিথ এডিসন জানিয়েছেন, 'কুড়ির শেষ থেকে মধ্য চল্লিশ পর্যন্ত মেয়েদের শরীরে সন্তানধারণের ক্ষমতায় ভাটা পড়ে। পাশাপাশি, যৌবনের মাঝ দরিয়ায় পৌঁছে তাঁরা হঠাত্‍ তীব্র যৌন উত্তেজনা বোধ করতে থাকেন।'

এই মানসিক পরিবর্তন প্রকৃতির নিয়ম মেনে জীবনে প্রবেশ করে, জানিয়েছেন মনোবিদ। জীবজগতের আদিম প্রবণতা অনুসারেই শরীর-মনে এই বিক্রিয়া ঘটে বলে তাঁর দাবি।
নারদ-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ২৯শে, চাপে তৃণমূল

নারদ-কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি ২৯শে, চাপে তৃণমূল

ভোটের মধ্যেই নারদ-কাণ্ড নিয়ে আরও চাপ বাড়ছে তৃণমূলের উপর।
কলকাতা হাইকোর্টের পর নারদ-কাণ্ড নিয়ে এ বার সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হতে চলেছে। শুক্রবার ওই মামলার শুনানি হবে। একই সঙ্গে রাজ্যসভার এথিক্স কমিটি যাতে নারদ-কাণ্ডে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে, তা নিয়ে নতুন করে উদ্যোগী হল সিপিএম।

গত সপ্তাহেই নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূলের বিধায়ক ও সাংসদদের অপসারণ চেয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আজ প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের সামনে এই বিষয়টি উল্লেখ করেন আইনজীবী অশোক ভান ও শুভাশিস ভৌমিক। যুক্তি দেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ দিকে পশ্চিমবঙ্গেও নির্বাচন চলছে। কাজেই দ্রুত বিষয়টির শুনানি হোক। প্রধান বিচারপতি শুক্রবার, ২৯ এপ্রিল এ বিষয়ে শুনানিতে সম্মত হন।
কলকাতা হাইকোর্টে নারদ-কাণ্ড নিয়ে ইতিমধ্যেই মামলা চলছে। তিন সদস্যের একটি কমিটি গড়ে দিয়েছে হাইকোর্ট। যেখানে নারদ নিউজের অধিকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল যাবতীয় অসম্পাদিত ভিডিও জমা দিয়েছেন। ম্যাথুর হলফনামা বিষয়ে অভিযুক্তদের কোনও বক্তব্য থাকলে তা ২৭ এপ্রিলের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাকারী বিপ্লব চৌধুরী আবেদন জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা ও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক। একইসঙ্গে তাঁদের বিধায়ক বা সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ জারি হোক। ভবিষ্যতেও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিষেধাজ্ঞা জারি হোক।
তৃণমূলের অভিযুক্ত সাংসদদের সদস্যপদ খারিজ করাতে বদ্ধপরিকর সিপিএম-ও। লোকসভার ছ’জন সাংসদের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটি তদন্ত শুরু করলেও রাজ্যসভার এথিক্স কমিটিতে বিষয়টি পাঠানো হয়নি। বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে এ বিষয়ে সীতারাম ইয়েচুরি প্রশ্ন তোলায় ডেপুটি চেয়ারম্যান পি জে কুরিয়েন যুক্তি দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকার রাজি না হলে তাঁর কিছু করার নেই।
আজ রাজ্যসভার এথিক্স কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সরব হন ইয়েচুরি। যুক্তি দেন, কমিটি নিজেই তদন্ত শুরু করুক। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত মুকুল রায় নিজেই এথিক্স কমিটির সদস্য। মুকুল আজকের বৈঠকে হাজির ছিলেন না। বৈঠকে উপস্থিত কংগ্রেস বা বিজেপি সাংসদরাও এ বিষয়ে আপত্তি তোলেননি। কিন্তু কমিটির চেয়ারম্যান কর্ণ সিংহ যুক্তি দেন, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করলেও নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তা কমিটির কাছে পাঠালেই তদন্তের কাজ শুরু করা সম্ভব।
বৈঠকের পরে ইয়েচুরি বলেন, ‘‘আমাদের মতে, নিয়ম অনুযায়ী কোনও বিষয় এথিক্স কমিটির কাছে পাঠাতে হলে সরকারি মতামতের প্রয়োজন নেই। আবার নরেন্দ্র মোদী থেকে বিজেপি নেতারা পশ্চিমবঙ্গে ভোটের প্রচারে গিয়ে বলছেন, রাজ্যসভার এথিক্স কমিটিতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু কংগ্রেস-সিপিএম এ বিষয়ে সরব হয়নি। আমরা তাই নতুন করে সরব হব। রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করা হবে। দরকারে চেয়ারম্যানের কাছেও আলাদা করে চিঠি লেখা হবে।’’
জিত কার, অগ্নিপরীক্ষায় সিন্ডিকেট পাড়া

জিত কার, অগ্নিপরীক্ষায় সিন্ডিকেট পাড়া

এ যেন চোর-পুলিশ খেলা!

এক দিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে পুলিশের তৎপরতা। আবার নিরাপত্তায় মোড়া সেই সব এলাকায় ভোট-পর্বে ‘কাজ হাসিল’ করার মরিয়া চেষ্টা সিন্ডিকেট বাহিনীর। রাজারহাট, নিউ টাউন, বিধাননগর — তিন বিধানসভা কেন্দ্রে সেই খেলাই শুরু হয়ে গিয়েছে শনিবার রাত থেকে।
নির্বাচন কমিশনের গুঁতোয় সে সব অঞ্চলে আদা-জল খেয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিধাননগরে গত পুর-নির্বাচনে কালি লেগে গিয়েছিল পুলিশের ভাবমূর্তিতে। পুলিশের চোখের সামনে সে দিন তৃণমূল নেতাদের মদতে সল্টলেক জুড়ে দাপিয়ে বেরিয়েছিল বহিরাগত যুবকের দল। সে দিন ভোট দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিধাননগরের সাধারণ মানুষ। নির্বাচনের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন সাংবাদিকেরাও। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই ঘটনাকে ধিক্কার জানানো হয়েছিল। সমালোচনার মুখে পড়েছিল পুলিশের ভূমিকা। এ বার সেই কালি মুছতে মরিয়া পুলিশ। শেষ পর্বে, গত ২১ এপ্রিল উত্তর কলকাতার নির্বাচনের দিন কলকাতা পুলিশের তৎপরতা দেখে বিধাননগরের পুলিশও অনেকটাই সাহস পেয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন পুলিশকর্তারা। সে দিন কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় লাঠি মেরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যত্রতত্র জটলা করা শাসক দলের সমর্থকদের। সেই পথ বেছে নিচ্ছে বিধাননগর কমিশনারেটও।
শনিবার রাতে কেষ্টপুরের একটি ক্লাবে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী অভিযান চালিয়ে দেখতে পায়, সেখানে তখন সবে মদের আসর শুরু হয়েছে। জনা ২০ যুবক বসেছেন আসর সাজিয়ে। পুলিশের অনুমান, সোমবার ভোটের ‘কাজ হাসিল’-এর পরিকল্পনা করতেই ওই সমাবেশ। সূত্রের খবর, তাদের কথা বলার বেশি সুযোগ না দিয়েই কার্যত পিটিয়ে মদের আসর বন্ধ করে পুলিশ। মঙ্গলবারের আগে সেই ক্লাবে জমায়েত না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এক পুলিশকর্তার দাবি, শুধু কেষ্টপুর নয়, রাজারহাট জুড়ে এমন যত ক্লাবে শনি ও রবিবার জমায়েত হয়েছিল, সিন্ডিকেটের যে সব ছোটখাটো ডেরায় রাতে আসর বসেছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে সেই সব এলাকা ফাঁকা করে দিয়েছে পুলিশ। নিউ টাউনে এমন ১৮টি ক্লাবের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। আসর সাজিয়ে বসা এমন ৪৪ জনকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে শনিবার রাতে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। শনিবার রাত থেকে রবিবার পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৫ জন গ্রেফতারও হয়েছে।
রাজারহাট, নিউ টাউন, সল্টলেক এলাকায় সব নির্মীয়মাণ বাড়িতেও হানা দিয়েছে পুলিশ। অভিযোগ, নির্বাচনের সময়ে এই সব বাড়িতে অনেক বাইরের লোক শ্রমিক সেজে থাকেন। নির্বাচনের দিন সকালে নিজেদের কাজ সেরে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে যান। বিধাননগরের গত পুর-নির্বাচনেও এই ভাবে নির্মীয়মাণ বাড়িতে যুবকদের জড়ো করে রাতে চড়ুইভাতির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সব বাড়িতে গিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, শুধু যে শ্রমিকদের ওই এলাকায় বাড়ি, তাঁরা এবং বাড়ির দারোয়ান ছাড়া অন্য কেউ ওই বাড়িতে থাকতে পারবেন না।
রবিবার দুপুরে নিউ টাউনের চাঁদপুরে সিন্ডিকেটের চাঁই গফ্‌ফর মোল্লা ওরফে মাটি গফ্‌ফরের বাড়িতে ধাওয়া করে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। গফ্‌ফরের বিরুদ্ধে এমনিতেই খুনের অভিযোগ ঝুলছে। তার উপরে অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের এই নেতা তৃণমূলের হয়ে ভোট করানোর পরিকল্পনা করে রেখেছেন। গফ্‌ফর শনিবার সকাল থেকেই বাড়িতে নেই বলে জানান তাঁর স্ত্রী আকলিমা বিবি।
গফ্‌ফরের মতো সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত যত চাঁই, যাঁরা এই ভোটে ‘সক্রিয়’ হতে পারে বলে আগাম খবর, তাদের এলাকাতেও হানা দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে। যেখানেই একসঙ্গে পাঁচ জন যুবকের জটলা দেখা গিয়েছে, সেখানেই তাড়া করা হয়েছে তাঁদের। তল্লাশির হাত থেকে বাদ যায়নি এলাকার হোটেল, গেস্ট হাউস, মেস। পুলিশ সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি গেস্ট হাউসে এমন সব অতিথি পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা সেখানে থাকার যথেষ্ট কারণ দেখাতে পারেননি। তাঁদের পত্রপাঠ সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই সব গেস্ট হাউসের মালিক ও ম্যানেজারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই সব গেস্ট হাউস ও হোটেলে আবার হানা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে পুলিশ। বলা হয়েছে, এই তিন বিধানসভা এলাকায় ক্রমাগত টহল দিচ্ছে পুলিশের গাড়ি। তারাই মাঝেমধ্যে ওই হোটেল, গেস্ট হাউসে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছে।
এই মারাত্মক চাপের মুখে পাল্টা ঘুঁটি সাজানোর মরিয়া চেষ্টাও চলছে। সেই কাজে শাসক শিবির অনেকটাই এগিয়ে। শোনা গিয়েছিল, কলকাতার বেশ কয়েক জন তৃণমূল কাউন্সিলর এ বার বিধাননগরে গিয়ে ভোট করাবেন। যেমনটি তাঁরা গত পুর-নির্বাচনে করিয়েছেন। কিন্তু শাসক দলের একাংশই বলছে, পুলিশের এই তৎপরতায় রীতিমতো কাঁপুনি ধরেছে শাসক শিবিরেও। ফলে রাস্তায় নেমে ভোট ‘করানোর’ খেলায় অনেকেই এখন ওয়াকওভার দিয়ে দিচ্ছেন। বিধাননগরে যেতে চাইছেন না অনেকেই। আশপাশের দুই জেলা থেকে যাঁরা বুকে সাহস নিয়ে রাস্তায় নামার পরিকল্পনা করেছেন, তাঁদেরও আড়ালে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশঙ্কা, কোনও কারণে এঁদের কেউ ধরা পড়ে গেলে পরে নিজেদের এলাকায় এঁরা ভোট করাতে পারবেন না। তাতে আরও বিপদে পড়ে যাবে শাসক দল।
এত পুলিশি কড়াকড়ি সত্ত্বেও রবিবার বিকেলের পর থেকেই রাজারহাটের দশদ্রোণ, ইউনিটেকের কাছে বিভিন্ন বাড়িতে বহিরাগতদের এনে জড়ো করার অভিযোগ উঠেছে মূলত শাসক দলের বিরুদ্ধেই। বেশ কিছু জায়গা থেকে সংঘর্ষের খবরও আসতে শুরু করেছে। রাতের দিকে কিছু এলাকা থেকে বুথ দখলের চেষ্টা-সহ নানা ধরনের অভিযোগ আসতে থাকে। যেমন ভারতীয় বিদ্যাভবন স্কুলের বুথের ভোটারদের বাড়ি থেকে না বেরোনোর হুমকি দেওয়া অভিযোগ ওঠে এলাকার তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূলের তরফে অভিযোগ নস্যাৎ করতে সময় লাগেনি। তবে নিরাপত্তার এই কড়াকড়ির মধ্যে বুথ দখল যে করা যাবে না, সে বিষয়ে নিশ্চিত শাসক দল। তাই প্রক্সি ভোট যথাসম্ভব নিশ্চিত করার কথা ভাবা হয়েছে। কিছু এলাকায় প্রকৃত ভোটারের ভোটার কার্ড তৃণমূলের নেতারা হস্তগত করে রেখেছেন বলে অভিযোগ। সঙ্গে চলছে পাড়ায় পাড়ায় হুমকি। এ সব অভিযোগও অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের এক নেতা অবশ্য জানিয়েছেন, বিধাননগর কেন্দ্রের সল্টলেকে তাঁদের ভরাডুবি হবে বলে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। ফলে বিধাননগর কেন্দ্রে জিততে হলে লেকটাউন ও দক্ষিণদাঁড়িতে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। সেই কারণে ‘যা করার’ ওই দু’টি এলাকায় করতে হবে। কী করবেন? নেতার কথায়, ‘‘দেখুন না, সোমবার কী হয়।’’
সূত্রের খবর, আজ, সোমবার যে সব গাড়িতে কমিশনের আধিকারিকদের দাপিয়ে বেড়ানোর কথা, সেই গাড়ির চালকদেরও ‘বুঝিয়ে’ রাখা হয়েছে বলে নেতাদের দাবি। কোথাও কোনও ঘটনার অভিযোগ পেলে কমিশনের লোকজন ঘটনাস্থলে যাতে দেরি করে পৌঁছোন, তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে ওই চালকদের হাতে।
জোটের মাস্টার স্ট্রোক, এক মঞ্চে বুদ্ধ-রাহুল?

জোটের মাস্টার স্ট্রোক, এক মঞ্চে বুদ্ধ-রাহুল?

নির্বাচনের শেষ পর্যায়ে এসে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং রাহুল গাঁধীকে এক মঞ্চে হাজির করে এ বার মাস্টার স্ট্রোক দিতে চাইছে জোট-শিবির।
প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রে খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৭ এপ্রিল পার্ক সার্কাস ময়দানের সভায় হাজির থাকবেন ওই দুই নেতা। সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে, বুদ্ধদেববাবু ওই সভার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছেন।
জোট প্রার্থীদের সমর্থনে ভোটপ্রচারে দু’পক্ষের শীর্ষ নেতৃত্বকে এক মঞ্চে হাজির করতে গোড়া থেকেই তত্পর হয়েছিল কংগ্রেস। প্রথম দিকে বামেদের তরফে তেমন একটা উত্সাহ দেখানো হয়নি। তবে, পরের দিকে জোট প্রার্থীদের প্রচারে কংগ্রেসের পাশে বাম নেতৃত্বকে দেখা গিয়েছে। এর আগে বংশগোপাল চৌধুরী বা গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়ের মতো নেতাকে দেখা গিয়েছে রাহুলের বর্ধমানের সভায়। তাঁর বসিরহাটের সভায় দেখা গিয়েছে সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত ভট্টাচার্যকেও। তবে, একই সভায় বুদ্ধদেববাবু এবং রাহুলের উপস্থিতি রাজ্য রাজনীতিতে যে অন্য মাত্রা এনে দেবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
গোড়া থেকেই বুদ্ধদেববাবু জানিয়েছিলেন, তিনি এ বারের প্রচারপর্বে অংশ নেবেন না। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় কর্মীদের অনুরোধ সযত্নে সরিয়েও দিয়েছিলেন। একমাত্র ব্যতিক্রম গত ১৯ তারিখ ‘রোড-শো’। কসবা, টালিগঞ্জ এবং যাদপুরের জোটপ্রার্থীর সমর্থনে ওই রোড শোতে অংশ নেন তিনি। ঢাকুরিয়া থেকে গড়িয়া পর্যন্ত সেই রোড-শোতে কয়েক হাজার বাম কর্মী-সমর্থককে দেখা যায়।
সরকার গড়বে তারা

সরকার গড়বে তারা

এ বলে আমায় দেখ, তো ও বলে আমায়!
চতুর্থ দফা ভোট শেষ হওয়ার তখনও ঘণ্টাখানেক বাকি। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করলেন, তাঁর দল এই চার দফাতেই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন নিজেদের ঘরে তুলে নিতে পেরেছে। এখনও দু’দফা ভোট বাকি রয়েছে। মমতার দাবি, ওই দুই দফায় যে ক’টি আসন পাওয়া যাবে তা ‘ম্যাজিক ফিগার’-এ বাড়তি সংখ্যা যোগ করবে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা হিসেব করে ফেলেছি। আপনারা ভোটের ফল প্রকাশ পেলে মিলিয়ে নেবেন।’’
তিনি যখন এই দাবি করছেন, তখন প্রায় একই সুরে কথা বললেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর বক্তব্য, ‘‘সোমবারের আগে পর্যন্ত যতগুলো আসনে নির্বাচন হয়েছে, সেখান থেকেই বাম ও গণতান্ত্রিক জোট ১০০-র বেশি আসন পাচ্ছে। মানুষের এই জোট ধীরে ধীরে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে। ১৯ মে-র পর ধর্ম নিরপেক্ষ নতুন গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’’ তাঁর আরও দাবি, মানুষের ভোট দেওয়ার যে প্রবণতা তাঁরা দেখছেন, তাতে তৃণমূল শেষ পর্যন্ত তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারবে না।

চতুর্থ দফায় উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার ৪৯টি আসনে এ দিন ভোট ছিল। বিক্ষিপ্ত কিছু হিংসার অভিযোগ ছাড়া ভোট মিটেছে মোটামুটি শান্তিতেই। কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা আগের চেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল বলে জানিয়েছে প্রধান বিরোধী দল সিপিএম। সূর্যবাবুর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, প্রায় ১২৪০০টি বুথে নির্বাচন হয়েছে। তার মধ্যে বুথ দখল, ছাপ্পা দেওয়ার চেষ্টা, এজেন্টদের মেরে বার করে দেওয়া, ভোটারদের হুমকি দেওয়া, প্রার্থীকে আক্রমণ— এ সব যা ঘটনা ঘটেছে, তা সব মিলিয়ে মোট বুথের এক শতাংশের বেশি হবে না। তাঁর কথায়, ‘‘এই ভোটে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছেন মানুষ। প্রথম থেকেই আমরা এটা বলে আসছিলাম। এ বারের পর্বে এসে মানুষ আরও সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁরা কী চান।’’

সূর্যবাবু এ দিন আলাদা করে সেলাম জানিয়েছেন হালিশহরের দেবশ্রী ঘোষকে। তার তিন বছরের শিশুকন্যা আক্রান্ত হাওয়ার পর সে আধো আধো গলায় অভিযোগ জানিয়েছে, তার পরেও তার মা বলেছেন, ‘প্রাণ গেলেও তিনি বুথে গিয়ে ভোটটা দেবেন।’ এবং শেষ পর্যন্ত তিনি ভোট দিয়েছেন। সূর্যবাবুর কথায়, ‘‘এই মা-ই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদের প্রতীক। তাঁকে সেলাম জানাচ্ছি। আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর যদি বিবেচনা বোধ থাকে, তা হলে ওই শিশুটির মুখে অভিযোগ শোনার পর তার রাতের ঘুম উড়ে যাওয়ার কথা।’’ সেই সঙ্গেই তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিন। আর না পারলে, ১৯ মে পর্যন্ত আমরা ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করব। তার পরে নতুন সরকার এই অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’’
২০০-র দাবি সূর্যর, ফুত্‍‌কারে ওড়ালেন মমতা

২০০-র দাবি সূর্যর, ফুত্‍‌কারে ওড়ালেন মমতা

কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হওয়ার পরেই রাজ্যে পালাবদল নিয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন সূর্যকান্ত মিশ্র। সোমবার চতুর্থ দফা ভোটশেষে সিপিএমের সেই নেতাই, জোটের অন্যতম কান্ডারি, জোর গলায় দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসকে পরাস্ত করে, জোট আসছে ক্ষমতায়। সেই সূত্রেই তাঁদের লক্ষ্য যে ২০০, তা স্পষ্ট করেন। দাবি করেন, একশো আসন আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। 

'সন্ত্রাস' 'হুমকি'কে উপেক্ষা করে জোটকে ভোট দেওয়ার জন্য, বাংলার মানুষকে ধন্যবাদ জানাতেও ভোলেননি সিপিএমের এই নেতা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সূর্যকান্ত বলেন, এ বারের ভোটটা শাসকদলের সঙ্গে নির্বাচকমণ্ডলীর। আমাদের লক্ষ্য এখন ২০০। 

বাম নেতার দু'শোর দাবি, ফুত্‍‌কারে উড়িয়ে দেন শাসকদলের সাংসদ মুকুল রায়। তাঁর পালটা কটাক্ষ, সূর্যবাবুরা যদি ২০০ আসনই পান, তা হলে কমিশনে এত এত অভিযোগ করছেন কেন?




মুকুলের দাবি, সূর্যকান্ত মিশ্র নিজেই হারবেন। তাঁর সঙ্গে তাঁর দলও পরাস্ত হবে। জোটের দু'শোর আশা উড়িয়ে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দাবি, নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠা পেয়ে তৃণমূলই আবার রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় ফিরবে। 

অন্য দিকে, পাটুলির সভায় এদিনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, চতুর্থদফা পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে, তাতে আমরাই সরকার গড়ব। বাকি দুটি দফায় বিরোধীদের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়বে। তাঁর দাবি, গতবারের থেকে আসন আরও বাড়বে। 

দীর্ঘসময় ধরে ভোট করানোর জন্য এদিন নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও তোপ দেগেছেন শাসকদলের সুপ্রিমো।
মৃত্যুর পরে আপনার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের কী হবে?

মৃত্যুর পরে আপনার ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের কী হবে?

আপনি চিরদিন বাঁচবেন না। সেটাই স্বাভাবিক। থেকে যাবে আপনার কীর্তিকলাপ। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং-এ আপনি কী করেছেন, তার খতিয়ান। কিন্তু ঠিক কী হয়?

ফেসবুক-এ এখন মৃত মানুষের ভিড়। বহু মানুষ মারা গিয়েছেন, কিন্তু তাঁদের অ্যাকাউন্টগুলি দিব্য রয়েছে বহাল তবিয়তে। যদিও ইউজারের মৃত্যুর ক্ষেত্রে একটি নিয়ম রয়েছে ফেসবুক-এর। ফেসবুক হয় পাকাপাকিভাবে সেই অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেয়, নয়তো সেটিকে একটি মেমরিয়াল পেজ-এ পাল্টে দেয়। এ ক্ষেত্রে ফ্রেন্ড এবং ফ্যামিলি লিস্টে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা মৃত ব্যক্তির মেমোরিয়াল পেজ-এ পোস্ট করতে পারেন। ইউজার যদি কাউকে ‘লিগ্যাসি কনট্যাক্ট’ দিয়ে যান, তা হলে তাঁর মৃত্যুর পরে সেই ব্যক্তি আংশিকভাবে ওই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।
টুইটারে কোনও ইউজারের মৃত্যুর পরে তিনি যাঁকে অথরাইজ করে দিয়ে যাবেন, একমাত্র তিনিই ইউজারের মৃত্যুর কথা জানাতে পারবেন। তবে সেই ব্যক্তিকে ইউজারের মৃত্যুর পর্যাপ্ত প্রমাণ দিতে হবে। তবে ওই অ্যাকাউন্টে পরিবারের কোনও অধিকার থাকবে না।
ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলটিকে মেমোরিয়াল পেজ করে দেয়। তবে সেই অ্যাকাউন্টে কারও অ্যাকসেস থাকবে না।
অবিবাহিতা মধ্যবয়সি বাঙালি মহিলাদের ৭টি প্রধান সমস্যা

অবিবাহিতা মধ্যবয়সি বাঙালি মহিলাদের ৭টি প্রধান সমস্যা

আগে বলা হত, এঁরা সংসারের বোঝা। এখন কি সময় পাল্টেছে? না, একইরকম রয়েছে? বাঙালি পরিবারে অবিবাহিতা মধ্যবয়সিরা সম্ভবত আজও ‘‘সমস্যা’’র নামান্তর।

১. নিরাপত্তাহীনতা: পথে একাকী মহিলা কি আজও নিরাপদ? সম্ভবত নয়। তা হলে ঘরে-বাইরে মধ্যবয়সি একাকী মহিলার অবস্থা কল্পনা কি খুব কঠিন? যে সমাজে বিবাহিতারাই সুরক্ষিত বোধ করেন না, সেখানে অবিবাহিতাদের নিরাপত্তার অবস্থা আরও খারাপ হবে, সেটাই স্বাভাবিক।
২. অর্থনৈতিক নিরাপত্তা: চাকরি থাকলে তা-ও একটা ভরসা থাকে। কিন্তু বর্তমানে চাকরির বাজার বেহাল। রোজগারের পথ না-থাকলে তাঁকে পরের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে। মাঝবয়সে পৌঁছে অর্থের জন্য অন্যের উপরে নির্ভরশীল হতে হলে জীবনে অনেক হিসেবই যে নতুন করে কষতে হয়।
৩. চাকরি থাকলেও সমস্যা: কর্মক্ষেত্রে অবিবাহিতা, স্বাধীনচেতা মহিলাদের সমস্যাটা একটু বেশিই। অফিসে তাঁদের নিয়ে বিবিধ কানাঘুষো ঘুরে বেড়ায়। বিশেষ করে পুরুষদের কাছে এঁদের ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠে চ্যালেঞ্জের সামিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে বাধার মুখোমুখি হতে হয়।
৪. কামনা-লালসা: বলা হয়, মাঝবয়সটা মেয়েদের পক্ষে সবথেকে বিপজ্জনক। শরীরের নিয়ম মেনে এই সময়ে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে, যা সবসময়ে হয়তো মানসিক দিক থেকে সমপর্যায়ের পুরুষদের আকর্ষণ করে না। সুযোগ নেওয়ার জন্য ও়ৎ পেতে থাকতেই পারে অনেকে। বহু ক্ষেত্রে দেখা যায়, জীবনের না-পাওয়াগুলো আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে নিতে অনেক মহিলা ফাঁদে পা দেন। ডেকে আনেন চরম সর্বনাশ।
৫. বিয়ের চাপ: পরিবারের তরফে বিয়ের চাপটা এই বয়সে সবথেকে বেশি বেড়ে যায়। বিয়ে করতে না-চাইলেও অনেকে এই বয়সে এসে শেষ পর্যন্ত পারিবারিক চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হন। সেই অভিজ্ঞতা অনেক ক্ষেত্রেই সুখের  হয় না।
৬. সময়ের চাপ: বেশিরভাগ মহিলাই ‘‘মা’’ ডাক শুনতে উন্মুখ থাকেন। জীবনের একটা সময়ে বিয়ে না-করার পণ অনেক ক্ষেত্রেই মাঝবয়সে এসে ভেঙে যায় স্রেফ এই কারণে। কিন্তু মা হওয়ার জন্য এই বয়স হয়তো সবার ক্ষেত্রে সঠিক নয়। শারীরিকভাবে তো বটেই, সার্বিক বিচারেও। অনেকে সন্তান দত্তক নেন, সিঙ্গল মাদার হিসেবে তার লালনপালন করতে থাকেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও বিবিধ সমস্যা চলে আসে।
৭. চরিত্র নিয়ে টানাটানি: সর্বশেষ এবং সবথেকে ভয়ঙ্কর ব্যাপার। অনেক পুরুষই মধ্যবয়সি অবিবাহিতা মহিলা দেখলে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেন। না-পারলে চরিত্রে কালির ছিটে দেওয়ার তোড়জোড়। অফিসে ব্যক্তিত্বের কাছে হার মানলেও একই ঘটনা। অবিবাহিতা মহিলাদের প্রতি পুরুষ সহকর্মীদের আকর্ষিত হতে দেখলে মহিলা সহকর্মীদের অনেকে সেই কাজই করেন। আবার ভাল কাজ করে প্রোমোশন পেলেও ধেয়ে আসে বাঁকা কথা।
পৃথিবী যেন পুরোটাই ভাগাড়। চারিদিকে শুধু থরে থরে সাজানো শকুনের সারি।
‘সানবাথ-বৌদি’ অথবা শাঁখা-নোয়া-সিঁদুরের নতুন পালা

‘সানবাথ-বৌদি’ অথবা শাঁখা-নোয়া-সিঁদুরের নতুন পালা

কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত অথবা নির্বস্ত্র সানবাথ-রত বঙ্গীয় নারীশরীরের উপরে যথেচ্ছ ঘুরে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনের পেশাদার ম্যসিওরদের পাকা হাত। বস্ত্র না-থাক, শাঁখা-নোয়া রয়েছে।
চিৎপুর যাত্রাপাড়ার বিজ্ঞাপন বলে যদি কেউ এই লেখার শিরোনামকে ধরে বসেন, তাঁকে দোষ দেওয়া যাবে না। বাঙালির জীবনে গ্লোবোলাইজেশন আসুক অথবা যে কোনও বালাই-ই আসুক, শাঁখা-পলা-নোয়ার পালাগান তার পিছু ছাড়বে বলে মনে হয় না।

‘বৌদির শাঁখা থেকে গেল ফাঁকা’ অথবা ‘নুয়ে পড়া নোয়ার কান্না’ নামে কোনও অশ্রুসজল সামাজিক পালা চিৎপুর যদি না-ও লেখে, ইন্টারনেট কিন্তু লিখে চলেছে নিরন্তর। উপরের ছবিটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। নেট-পানুর মহাসাগরে যে সব স্কুবা-ডুবুরিরা নিয়মিত ডুব দিয়ে ভুড়ভুড়ি কাটেন, তাঁরা জানেন এর ‘রহস্য’টি কী।
ক্রমাগত রিসর্টবাজির প্রবণতা বৃদ্ধি এবং সেই প্রবণতায় বাঙালি গৃহবধূকুলের আত্মসংযোজন কত দূর বিস্তৃত হয়েছে, তা অন্তর্যামী না-জানলেও ইন্টারনেট জানে। বাড়ি নামক কনফাইনমেন্টের চৌহদ্দি থেকে মুক্তির অর্থটি গত দশ বছরে মুহুর্মুহু বদলে চলেছে। সাহিত্যিক সুবোধ ঘোষ তাঁর ‘বারবধূ’ নামের ছোটগল্পটিতে পারিবারিক পরিসরের বাইরে বাঙালি পুরুষের যৌনফুর্তির যে আখ্যানটি লিখেছিলেন, তার কেন্দ্রে থাকা নারীটি ‘গৃহবধূ’ ছিল না। আর সেটাই ছিল গল্পটির প্রধানতম আখ্যান-মোচড়। বারবিলাসিনী নারী আর গৃহবধূত্বের মাঝখানে যে ফাঁকটা অসেতুসম্ভব ছিল সেটাকেই কি ভরাট করে দিল গত ১০ বছরের সমাজেতিহাস?
নেট থেকে এমন ভিডিও অথবা স্টিল ছবি পাওয়া এই মুহূর্তে কোনও ব্যাপারই নয়, যেখানে একান্ত ঘরোয়া পরিসরে নিজেকে উন্মুক্ত করছেন আপাতদৃষ্টিতে একান্ত ঘরোয়া কোনও হাউজ ওয়াইফ বাঙালিনী। এখানেই শেষ নয়, সোয়াপিং, সুইঙ্গিং-আদি রতিকলাতেও যে তাঁরা পারদর্শিনী, তার ডকুমেন্টেশনও রাখা হচ্ছে সযত্নে। অনেক ক্ষেত্রেই স্পষ্ট বোঝা যায়, এই ‘যত্নশীল’ আর্কাইভিস্টটি মহিলাক স্বামী ছাড়া আর কেউই নন। সেক্ষেত্রেও একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয়। কীবাবে এবং কখন বাঙালি মধ্যবিত্তের ঘরেলু নৈতিকতার জায়গাটা এতটা বদলে গেল, তার খবর কিন্তু রাখা হয়নি কোনও ভাবেই। স্বামী তাঁর দামি মোবাইল ক্যামেরায় শ্যুট করে চলেছেন স্ত্রীর সুইঙ্গিং, অথবা নিবিড় আদরে ক্যামেরাবন্দি করছেন বিস্রস্তবসনা গৃহলক্ষ্মীর ম্যাসাজ গ্রহণের দৃশ্য। কটিমাত্র বস্ত্রাবৃত অথবা নির্বস্ত্র সানবাথ-রত বঙ্গীয় নারীশরীরের উপরে যথেচ্ছ ঘুরে যাচ্ছে ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশনের পেশাদার ম্যসিওরদের পাকা হাত। বস্ত্র না-থাক, শাঁখা-নোয়া রয়েছে। একি বাঙালিত্বের অভিজ্ঞানকে সাক্ষী রেখে যৌন-বিপ্লবের উদাত্ত আহ্বান? একি শঙ্খ ঘোষের সেই বিখ্যাত পঙক্তি ‘বাইরে লেনিন, ভিতরে শিব, বেলেঘাটার গলি’-র ইরোটিক রূপান্তরণ?
নাকি এটাই বাঙালির চির-অপরিবর্তনীয় চরিত্র? পরিবর্তন আর স্থবিরতাকে একই পাতে ডালিভাতি করে মৌজ করার কালচার তো সেই ‘ধর্মমঙ্গল’-এর কাল থেকে বহমান। শাঁখা-নোয়া আর বিকিনি, সিঁদুর আর থং প্যান্টি, ফোরজি অ্যান্ডরয়েড আর শনিপুজো এক পাতে বসার নামই কি বিশ্বায়ন? তাব কে য়ে কার কান ধরে টানছে, শাখা-নোয়া থং প্যান্টির নাকি থং প্যান্টি শাঁখা-নোয়ার সেটা বোঝা যায় না এই ধূসর-ধূসরতর জোন-এ। 
আরও বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পুলিশে অভিযোগ প্রকাশ কারাটের

আরও বিপাকে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার পুলিশে অভিযোগ প্রকাশ কারাটের

ছবি-বিতর্কে আরও বিপাকে পড়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার ডেরেক ও’ব্রায়েনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএম নেতা প্রকাশ কারাট।
নারদের পাল্টা দিতে গিয়ে শনিবারই বড়সড় বিপাকে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সেই বিপদ আরও বাড়ল। দিল্লির মন্দিরমার্গ থানায় এদিন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। সিপিএম-এর প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের দাবি, ডেরেক ও’ব্রায়েন যা করেছেন, তা আদতে সাইবার ক্রাইম। সেই অনুযায়ী যেন তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়। কারাটের বক্তব্য, রাজনাথ সিংহের সঙ্গে তাঁর কখনও দেখা হয়নি। এই ধরনের ছবি প্রচার করে তৃণমূল কংগ্রেস জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে দাবি প্রকাশ কারাটের। বিরোধীদের বক্তব্য, স্রেফ কার্টুন শেয়ার করার অপরাধে যদি অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেফতার করা হয়, তা হলে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে ছেড়ে দেওয়া হবে কেন?

জাল ছবি দেখিয়ে ডেরেক জড়িয়ে দিলেন দিদিকেও

জাল ছবি দেখিয়ে ডেরেক জড়িয়ে দিলেন দিদিকেও

একের পরে এক অস্বস্তি বেড়েই চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার নতুন বিতর্ক। আর সেটা তৈরি করলেন দলের জাতীয় মুখপাত্র স্বয়ং।
নারদ-কাণ্ডের ভিডিও’কে যিনি ‘জাল’ বলে দাবি করেছিলেন, সেই ডেরেক ও’ব্রায়েনই জড়িয়ে গেলেন ‘জাল ছবি’র কারবারে!
তৃণমূলের ‘পোস্টারবয়’ ডেরেকের লক্ষ্য ছিল নির্বাচনের সময় বিজেপি-সিপিএমের ‘ঘনিষ্ঠতা’ প্রমাণ করে বিরোধীদের ‘চাপে’ ফেলা। ঘটনাপ্রবাহে প্রমাণিত হয়, কম্পিউটারের ‘ফটোশপে’ ছবি ‘জাল’ করা হয়েছে। অতঃপর তড়িঘড়ি ভুল প্রকাশ করা হয় শাসকদলের তরফে। গোটা ঘটনার ‘দায়’ চাপানো হয়েছে তৃণমূলের ‘রিসার্চ টিমে’র উপর! বিজেপি অবশ্য তার আগেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। দাবি উঠেছে ডেরেকের গ্রেফতারি এবং রাজ্যসভার সাংসদপদ থেকে ইস্তফারও।
গোটা ঘটনায় প্রবল ‘বিড়ম্বনা’য় শাসকদল। কোনও ‘দায়িত্বশীল’ নেতাই ওই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে চাননি।

শনিবার সকালে ডেরেক তাঁর বাড়িতে একটি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন। তিনি জানিয়েছিলেন, তিনি সাংবাদিক বৈঠকটি ডেকেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই! সেখানে ডেরেক অভিযোগ করেন, সিপিএম-কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপি’র ‘আঁতাঁত’ রয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে দু’টি ‘ভিডিও ক্লিপিং’ এবং ছ’টি ছবি দেখান ডেরেক। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কেরলে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী বলছেন, ‘‘বামপন্থীরা যে মতাদর্শে বিশ্বাস করেন, তা এখন অচল।’’
এরপর এ রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে আসা রাহুলের বক্তৃতার একটি ভিডিও ফুটেজ দেখান ডেরেক। সেখানে দেখা যায়, বাম-কংগ্রেস জোটের হয়ে ভোট চাইছেন রাহুল। ভিডিও ফুটেজ দু’টি দেখানোর পর রাহুলকে কংগ্রেসের ‘আশ্চর্য বালক’ বলে কটাক্ষ করেন ডেরেক। রাহুলের উদ্দেশে তির্যক মন্তব্য করেন, ‘‘বড় বড় কথা বলে মানুষকে ঠকানোর চেষ্টা করছেন!’’
এরপর ডেরেক টিভি’র পরদায় স্থিরচিত্রগুলি দেখান। একটি ছবিতে দেখা যায়, হাতে গ্লাস নিয়ে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গাঁধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরেকটি ছবিতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ মুখোমুখি কথা বলছেন। তৃতীয় ছবিতে দেখা যায়, সীতারাম কথা বলছেন বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে। চতুর্থ ছবিটিতে দেখা যায়, সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের মুখে লাড্ডু গুঁজে দিচ্ছেন রাজনাথ। পিছনে জ্বলজ্বল করছে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক পদ্মফুল। একগাল হাসি এবং মুখে কটাক্ষ নিয়ে ডেরেক বলেন, ‘‘এই ছবিটা আমার সবচেয়ে পছন্দ!’’
বিরাট পদ্মফুলের ছবির সামনে রাজনাথের হাত থেকে কারাটকে লাড্ডু খেতে দেখে ভ্রূ কোঁচকান অনেক সিপিএম নেতাই। ওই ছবি কয়েক মুহূর্তে ‘ভাইরাল’ হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। গুঞ্জন তৈরি হয় রাজ্য-রাজনীতিতে।



সন্ধ্যার পরেই ‘রহস্য’ ফাঁস করেন বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। তিনি এক টিভি চ্যানেল মারফত একটি ছবি দেখিয়ে দাবি করেন, কারাটকে লাড্ডু খাওয়ানোর যে ছবিটি ডেরেক দেখিয়েছেন, সেটি পুরোপুরি ‘জাল’। সিদ্ধার্থনাথ এবং ডেরেকের দেখানো ছবি দু’টি হুবহু এক। ফারাক শুধু এক জায়গাতেই— সিদ্ধার্থনাথের দেখানো ছবিতে কারাটের জায়গায় নরেন্দ্র মোদী। সিদ্ধার্থনাথ জানান, ওই ছবিটি তোলা হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর। যেদিন মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে বেছে নিয়েছিল বিজেপি। আদতে ছবিটি তোলা নয়াদিল্লিতে বিজেপি’র কেন্দ্রীয় দফতরে।
সিদ্ধার্থনাথ আরও জানান, ছবিটিতে মোদীর মুখ সরিয়ে কারাটের মুখ ‘ফটোশপ’ করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বস্তুত, দু’টি ছবির মধ্যে পার্থক্য বলতে দু’টি মুখেরই। পোশাক এক। আবহ এক। এমনকী, দু’জন ব্যক্তিত্বের মধ্যে দাঁড়িয়ে-থাকা নিরাপত্তারক্ষীও এক! এর পরেই ডেরেকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার হুমকি দেন সিদ্ধার্থনাথ। দ্রুত তৃণমূল তথা ডেরেকের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় শুরু হয় বঙ্গ-রাজনীতিতে। নয়াদিল্লি থেকে বিবৃতি দেন কারাটও। যেখানে তিনি বলেন, ‘‘রাজনাথের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ এখনও পাইনি। এটা একটা আদ্যন্ত নকল ছবি!’’

তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তৃণমূলের সরকারি টুইটার হ্যান্ডলে লেখা হয়— ‘সাংবাদিক বৈঠকে দু’টি ভিডিও এবং ছ’টি ছবি দেখানো হয়েছিল। একটি ছবি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ছবিটি যে আদতে ফটোশপের মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল, তা জানার পরই তৃণমূলের রিসার্চ টিমের সদস্যেরা সেটি সরিয়ে নিয়েছেন।’ রাতে ডেরেক তাঁর ফেসবুকে একটি ভিডিও আপলোড করেন। সেখানে তিনি টুইটারে দেওয়া বিবৃতির পাশাপাশি সরাসরি ‘ভুল’ স্বীকার করেছেন। এবং বলেছেন, ‘আমরা সম্মানজনকভাবে আমাদের ভুলটা সংশোধন করেছি। কিন্তু একজন ক্যুইজমাস্টার হিসাবে আমার এবং আমার রিসার্চ টিমের আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। আমাদের এই ভুলটা করা উচিত হয়নি’।
কিন্তু ততক্ষণে কেলেঙ্কারি যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। নারদ-ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পর তাকে ‘জাল’ বলে দাবি করেছিলেন মমতা-সহ দলের শীর্ষনেতৃত্ব। সেই তৃণমূলেরই এক সাংসদ-নেতা সাংবাদিক বৈঠকে ঘটা করে একটি ‘জাল’ ছবি দেখানোয় রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মধ্যে হাসাহাসি শুরু হয়। একান্ত আলোচনায় শাসকদলের নেতাদের কয়েকজনও বলে ফেলেন, ‘অবিবেচকের মতো’ এবং ‘শিশুসুলভ’ কাজ করেছেন ডেরেক। এক নেতার কথায়, ‘‘যতটা উঁচুতে উড়ছিলেন ডেরেক, ততটাই নীচে নেমে এসেছেন। অতি চালাকের গলায় দড়ি!’’
প্রসঙ্গত, ডেরেক এদিন জানিয়েছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই সাংবাদিক বৈঠকটি ডেকেছেন। ফলে গোটা ঘটনাটির সঙ্গে ডেরেক জড়িয়ে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাকেও। তাঁর ওই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। নির্বাচন যখন ‘গুরুত্বপূর্ণ’ পর্যায়ে, তখন ডেরেকের এই ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ কাজ মুখ্যমন্ত্রীর উপর ‘চাপ’ আরও বাড়াবে বলেই ধারণা তাঁদের। সে যতই ডেরেক তৃণমূলের ‘রিসার্চ টিমে’র উপর ‘দায়’ চাপিয়ে সাধু সাজার চেষ্টা করুন না কেন! 
হিংসা রুখতে চরম হুমকি

হিংসা রুখতে চরম হুমকি

আগামিকাল , সোমবার রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট৷ তার দু'দিন আগে পুলিশ ও ভোটকর্মী -সহ রাজ্য প্রশাসনকে কড়া বার্তা দিল নির্বাচন কমিশন৷ নজিরবিহীন ভাবে দিল্লির নির্বাচন কমিশন থেকে রীতিমতো প্রেস বিবৃতি জারি করে শনিবার জানানো হয়েছে , অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট করাতে ব্যর্থ হলে , রাজ্যে ভোটের বাকি তিন পর্বে হিংসা থামাতে না -পারলে এবং হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর দ্রুত আইনি ব্যবস্থা না -নিলে দায়িত্বে থাকা অফিসারদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে৷ নবান্নের শীর্ষকর্তাদের ব্যাখ্যা , এই বক্তব্যের অর্থ, ভোটের কাজে গাফিলতি কিংবা দলদাসত্বের নজির সামনে এলে এ বার সরাসরি দাগ পড়বে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সার্ভিসবুকে৷


কমিশন জানিয়ে দিয়েছে , আগামী তিন পর্বে পুলিশ কর্তৃপক্ষ ও গোটা নির্বাচন মেশিনারিকে হিংসা থামিয়ে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট করাতেই হবে৷ প্রতিটি থানা এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ কমিশন এই হুমকিও দিয়েছে , ভোটের আগে , নির্বাচনের সময় ও পরে যে হিংসা হয়েছে ও হবে , তার উপর তারা কড়া নজর রেখেছে এবং রাখবে৷ অপরাধীরা যে দলের সঙ্গেই যুক্ত হোক না কেন , তাদের ছাড়া হবে না৷ পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন সময় নষ্ট না -করে এ ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে৷ হিংসা থামাতে ব্যর্থ হলে কমিশন যে ভাবে অফিসারদের শাস্তি দেওয়ার কথা বলেছে , তা অভূতপূর্ব৷ অতীতে এ ভাবে কোনও অফিসারকে শাস্তি দেয়নি বা দেওয়ার কথা সাধারণত বলেনি কমিশন৷ এই ধরনের ব্যবস্থা অন্য কোনও রাজ্যের ক্ষেত্রে কমিশন সচরাচর নেয় না৷ এমনকি , রাজ্যেও এর আগে যে চার দফায় ভোট হয়েছে , সেখানেও এ রকম কথা বলতে শোনা যায়নি নাসিম জাইদিদের৷ কিন্ত্ত যথেষ্ট পরিমাণ ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও গত পর্বে নির্বাচন চলাকালীন ও তার পরে হিংসায় চার জন মারা গিয়েছেন৷ কমিশন সমালোচনার মুখে পড়ায় জাইদি এই চরম ব্যবস্থাটাই নিলেন৷

কমিশন সূত্র বলছে , ২১ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন৷ এ দিন দিল্লির নির্বাচন সদন থেকে জারি করা এক প্রেস বিবৃতিতে কমিশনের অধিকর্তা ধীরেন্দ্র ওঝা স্পষ্ট করে দিয়েছেন , সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের ব্যাপারে পান থেকে চুন খসলে আর রেয়াত করা হবে না সংশ্লিষ্ট সরকারি আধিকারিকদের৷ সেটা সরাসরি কর্তব্যে অবহেলা হিসেবেই বিবেচিত হবে এবং সে গাফিলতির প্রভাব পড়বে তাঁদের চাকরির ক্ষেত্রেও৷ পুলিশ প্রশাসন , সাধারণ প্রশাসন , এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কর্তা-আধিকারিকরাও এর আওতার বাইরে নয় বলে সাফ জানানো হয়েছে কমিশনের তরফে৷ কাল রাজ্যে পঞ্চম দফার ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে মরিয়া কমিশন আরও একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷

পুলিশ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো , কঠোর ভাবে ১৪৪ ধারা কার্যকর করা , কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহলদারি বাড়ানো , কোথায় কোথায় টহলদারি হবে তা নিয়ে পুলিশ পর্যবেক্ষকের সিদ্ধান্তই চড়ান্ত বিবেচনা করা এবং স্পর্শকাতর ও ঝামেলাপ্রবণ এলাকায় বিশেষ টহলদারির ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ শুধু ভোট নয় , নির্বাচন -পরবর্তী হিংসা ঠেকাতেও কমিশন কড়া বার্তা দিয়েছে রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে৷ প্রতিটি ঘটনার উপর কমিশনের কড়া নজর রয়েছে জানিয়ে এ ব্যাপারে তাঁদের আরও দায়বদ্ধ করতে চেয়েছে কমিশন৷ তৃতীয় দফার ভোটের আগেই রাজ্যে এসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ ডিজি -কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিল , এই মুহূর্তে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ২৮ -এ ধারায় ডিজি কমিশনের ডেপুটেশনে রয়েছেন এবং রাজ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় অঘটনের দায় প্রত্যক্ষ ভাবে তাঁর৷ কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পাশাপাশি পাঁচ জন এসপি , চার জন ডিএম -কে অপসারণ করিয়েও ক্ষান্ত হয়নি কমিশন৷

দুই জেলার যে ৪৯টি কেন্দ্রে কাল ভোট , শনিবার সন্ধ্যা ছ 'টা থেকেই সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়ে গিয়েছে৷ যে দুই জেলায় ভোট , সেই হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ানো হয়েছে পুলিশ পর্যবেক্ষক৷ দুই জেলাতেই এ যাবত্ একজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক ছিলেন৷ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু সরকার এ দিন বলেন , হাওড়ায় এ বার দু'জন এবং উত্তর ২৪ পরগনায় তিন জন পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন৷ হাওড়ায় রবি ভার্মাকে এবং উত্তর ২৪ পরগনায় প্রমোদ ভামরে এবং পি রামজিকে আনা হচ্ছে৷ সূত্রের খবর , কলকাতা উত্তরে পুলিশ পর্যবেক্ষক হিসেবে ভালো কাজ করার জন্য প্রমোদকে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বিধাননগর , রাজারহাট -নিউ টাউন ও রাজারহাট -গোপালপুর বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে৷ গত বিধাননগর পুরভোটে এই তিন এলাকায় শাসক দল গায়ের জোরে ভোট করিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল৷ হাওড়ার শহর এলাকার জন্য ৭৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৩ হাজার রাজ্য পুলিশ এবং গ্রামীণ এলাকার জন্য ১৫২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৫ হাজার রাজ্য পুলিশ ইতিমধ্যেই মোতায়েন হয়ে গিয়েছে৷ তারা এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে৷

উত্তর ২৪ পরগনাতেও একই ছবি৷ ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় ১৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৫০০০ রাজ্য পুলিশ থাকছে৷ বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ৫১ কোম্পানি এবং রাজ্য পুলিশ ২০০০৷ জেলার বাদবাকি অংশের গ্রামীণ এলাকায় ২৫৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৮ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন হচ্ছে৷ গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে এমন এলাকা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত হয়েছে কমিশন ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে৷ এমন এলাকার সংখ্যা উত্তর ২৪ পরগনায় ২,৩২৩ এবং হাওড়ায় ৬৪৩টি৷ উত্তর ২৪ পরগনায় ৩ ,৭৮১ জন এবং হাওড়ায় ১ ,৭০৩ জন ভীতসন্ত্রস্ত ভোটারকেও চিহ্নিত করেছে কমিশন৷ এ ছাড়াও এলাকার গুন্ডা -মস্তান -সমাজবিরোধীদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন৷ উত্তর ২৪ পরগনায় এমন ৮৭৬ জন ও হাওড়ায় এমন ৬৬১ জনকে সতর্কতামূলক ভাবে গ্রেন্তার বা আটক করার নির্দেশও কমিশনের তরফে দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ প্রশাসনকে৷

দিল্লির কমিশন সূত্রে খবর , উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপর বিশেষ নজর দিচ্ছে কমিশন৷ নজর থাকবে হাওড়া ও হুগলির দিকেও৷ অনুব্রত মণ্ডলের মতো আরাবুল ইসলামের উপরও বিশেষ নজর থাকবে কমিশনের৷ হাওড়া ও হুগলির ক্ষেত্রেও তাঁদের প্রচুর চিন্তা রয়েছে৷ সংবাদপত্রের খবর , সিপিএমের বিস্তারিত অভিযোগ , পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট পাওয়ার পরই জাইদিরা চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে কমিশন সূত্রের খবর৷ 
পুরুষরা রোগা মেয়েদের কেন পছন্দ করে, জানেন?

পুরুষরা রোগা মেয়েদের কেন পছন্দ করে, জানেন?

দিকে দিকে রোগা হওয়ার হিড়িক। বিশেষত মহিলাদের মধ্যে। কেন? খুব সহজ উত্তর, পুরুষের চোখে আকর্ষণীয় হতে গেলে প্রথম শর্ত শরীরে মেদের বাহুল্য থাকা চলবে না। কিন্তু কখনও ভেবেদেখেছেন, পুরুষরা কেন রোগা মেয়েদের বেশি পছন্দ করেন? এ উত্তরটাও সহজ, মগজ ধোলাই।

আজ্ঞে হ্যাঁ। আর এই মগজ ধোলাইয়ের কাজটা করছে টেলিভিশন নামক বোকা বাক্সটি। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, শহর তো বটেই, যে সব গ্রামে টেলিভিশনের চল বেশি সেখানকার পুরুষরাই রোগা মহিলাদের বেশি পছন্দ করছেন। গবেষক দলের প্রধান ডা. মার্টিন টোভি বলেন, 'যেখানে টেলিভিশনের বাড়বাড়ন্ত, সেখানেই পুরুষদের মধ্যে মহিলাদের দেহের আকৃতি হিসাবে আপনা থেকেই একটা ধারণা তৈরি হয়ে যায়। আদর্শ ফিগার হিসাবে তাঁরা রোগা মহিলাদেরই পছন্দ করেন। অন্য দিকে, যেখানে টেলিভিশন নিয়ে মাতামাতি নেই সেখানে এই মানসিক ধারণাও থাকছে না।'

সাইকলজি জার্নালে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, নিকারাগুয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলে দু'টি গ্রামের ওপর এই পরীক্ষা করা হয়েছিল। একটি গ্রামে টেলিভিশন এবং পশ্চিমি মিডিয়ার চ্যানেলগুলি দেখানো হয়েছে। অন্য গ্রামে টেলিভিশন ছিল না। কিন্তু তাঁদের সংস্কৃতি, আচার-ব্যবহার সবই এক। মাস খানের বাদে দু'টি গ্রামে মহিলাদের ফিগার নিয়ে ১ থেকে ৫-এর মধ্যে নম্বর দিতে বলা হয়। সেখানে দেখা যায়, যে গ্রামে টেলিভিশন দেখানো হয়েছে সেখানকার পুরুষরা রোগা মহিলাদেরই পছন্দ করছেন। কিন্তু অন্য গ্রামটিতে মহিলাদের দেহের গড়ন নিয়ে তেমন কোনও বাছবিচার ছিল না।

ভারতের এই ৫টি জায়গায় উদ্দাম নগ্ন পার্টি হয় বলে শোনা যায়

ভারতের এই ৫টি জায়গায় উদ্দাম নগ্ন পার্টি হয় বলে শোনা যায়

পুরোটাই লুকিয়ে চুরিয়ে। পুলিশে টের পেলে হাতকড়া পরাবে নিশ্চিত। খোঁজ করলে দেখা যাবে, এই দেশের সর্বত্র এমন কাণ্ড ঘটে চলেছে। কিন্তু পাঁচটি জায়গা এর মধ্যেই বেশ নাম করেছে এ বিষয়ে...
১. আগাত্তি আইল্যান্ড বিচ, লাক্ষাদ্বীপ। তাল এবং নারকেল গাছে ভর্তি
সমুদ্রতট। শোনা যায়, এই বিচে হামেশাই ন্যুড পার্টির আসর বসে।
২. ওম বিচ, গোকর্ণ। বলা হয়, ভারতে
এমন ‘উষ্ণ’ বিচ নাকি দ্বিতীয়টি নেই।

৩. প্যারাডাইস বিচ, গোকর্ণ। এখানে নাকি এক গুপ্ত স্থান রয়েছে।
মাঝিমাল্লাদের বিশেষ বখশিস দিতে পারলে সেখানে নিয়ে
যান। নগ্নতার আসর বসে সেই গুপ্ত স্থানে।
৪. মারারি বিচ, কেরল। মারারি বিচ-এর প্লাস
পয়েন্ট হল এর নির্জনতা। একেবারে শুনশান বছরের
বেশিরভাগ সময়ে। নগ্নতার শ্রেষ্ঠ জায়গা?
৫. ওজরান বিচ, গোয়া। ভিড়ে ঠাসা গোয়ার প্রায়
সব বিচ। কিন্তু এখানে নাকি বিশেষ লোকজন ধরলে
পাওয়া যায় ন্যুড পার্টির সন্ধান।

সিঙ্গুরের মমতা-আবেগে ঘাটতি! সভা ভরাতে আনতে হল বাইরের লোক

সিঙ্গুরের মমতা-আবেগে ঘাটতি! সভা ভরাতে আনতে হল বাইরের লোক

কয়েক বছর আগেও তাঁকে ঘিরে আবেগের স্রোতে ভাসত সিঙ্গুর। তৃণমূলের জমি আন্দোলনের সেই আঁতুরঘরে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ভরাতে বাইরে থেকে লোক আনতে হল শাসকদলকে। আর সেই সভায় মমতা ছাড়া অন্য কোনও বক্তা একবারও জমি ফেরতের কথা উচ্চারণ করলেন না।
কয়েক বছর আগেও তাঁকে ঘিরে আবেগের স্রোতে ভাসত সিঙ্গুর। তৃণমূলের জমি আন্দোলনের সেই আঁতুরঘরে শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ভরাতে বাইরে থেকে লোক আনতে হল শাসকদলকে। আর সেই সভায় মমতা ছাড়া অন্য কোনও বক্তা একবারও জমি ফেরতের কথা উচ্চারণ করলেন না।
সিঙ্গুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সমর্থনে এদিন সিঙ্গুরের অপূর্বপুর ফুটবল মাঠে নির্বাচনী সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সিঙ্গুর ছাড়াও ওই সভায় হরিপাল, সপ্তগ্রাম, ধনেখালি ও তারকেশ্বর বিধানসভা এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন। সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল বিকেল ৪টেয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার সভাস্থলের কাছে পৌঁছয় ৫টা ২০ মিনিটে। তখনও মাঠ পুরো ভরেনি। এরপর দু’টি বড় মিছিল সভাস্থলে ঢুকলে মাঠ কিছুটা ভরে। তবে মমতার বক্তৃতা শেষ হওয়ার আগেই সভাস্থল ছাড়তে দেখা যায় অনেককে। 
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছেড়ে উঠে যাচ্ছেন দর্শকেরা 
রাজনীতির কারবারিদের একাংশের ব্যাখ্যা, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মমতা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তারপর তৃণমূল ক্ষমতা এলেও সিঙ্গুরে টাটাদের কারখানার জমি ফেরত পাননি ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকেরা। এর জেরেই টান পড়েছে মমতা-আবেগে। 
এদিন মমতা ছাড়াও বক্তৃতা করেন রবীন্দ্রনাথ এবং হরিপাল কেন্দ্রের তৃণমূলপ্রার্থী বেচারাম মান্না। দু’জনের কেউই জমি ফেরতের বিষয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি। শুধু মমতা তাঁর মিনিট পনেরোর বক্তৃতায় জানিয়েছেন, জমি ফেরত দেওয়া তাঁর সরকারের অঙ্গীকার। কবে তা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আমি বেঁচে থাকতে, আপনাদের উপর কোনও অন্যায় হতে দেব না। যতদিন না সিঙ্গুরের মানুষ জমি ফেরত পাচ্ছেন, আমরা দু’টাকা কিলো দরে চাল দেব।’’

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার পরেই আমরা সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ করেছিলাম। ওই জমি এখন আমাদের হাতে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। সেই মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আপনারা বিচার পাবেন।’’ সিঙ্গুরের জমি এখন তাঁদের হাতে রয়েছে, মমতার এই দাবি প্রসঙ্গে এদিন সিঙ্গুরের জোটপ্রার্থী তথা সিপিএম নেতা রবীন দেব ‘এবেলা’কে বলেন, ‘‘হাইকোর্টে হেরে গিয়েছেন। মামলা এখন সুপ্রিম কোর্টে। বিচারাধীন বিষয়ে উনি কীভাবে এই দাবি করেন?’’ প্রসঙ্গত, এদিন সিঙ্গুরের বড়ায় রবীনের সমর্থনে সভা করেন কংগ্রেসনেতা সোমেন মিত্র এবং সিপিএমনেতা      মহম্মদ সেলিম। 
সিঙ্গুরে গত পাঁচ বছরে তাঁর সরকার কী কী উন্নয়নের কাজ করেছে এদিন তারও ফিরিস্তি দেন তৃণমূলনেত্রী। তবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে তিনি বারবারই তুলেছেন জমি ফেরতের কথা। মমতা বলেন, ‘‘যেদিন আপনারা মামলায় জিতে যাবেন, সব ফেরত পাবেন, সেদিন গোটা পৃথিবীর কৃষিজমি আন্দোলনের ঠিকানা হবে সিঙ্গুর।’’
তবে মুখ্যমন্ত্রী যতই জমি ফেরতের আশ্বাস দিন, তাঁকে ঘিরে যে আগের আবেগ আর নেই, তা দৃশ্যতই স্পষ্ট। কেন আবেগে টান? সিঙ্গুরের তৃণমূলনেতা মহাদেব দাস বলেন, ‘‘আবেগ আছেই। তবে জমি ফেরতের দাবিও সিঙ্গুরের মানুষের রয়েছে। কিন্তু তাঁরা এটাও জানেন যে, জমি কেড়ে নিয়েছিল সিপিএম। তৃণমূল নয়।’’ প্রসঙ্গত, এদিন সভামঞ্চে থাকলেও একবারও নিজেদের মধ্যে কথা বলেননি রবীন্দ্রনাথ ও বেচারাম।
কিছু না করেই কেকেআর-এ থেকে যান শাকিব। চ্যাম্পিয়ন করেও সরতে হয় মনোজ তিওয়ারিকে

কিছু না করেই কেকেআর-এ থেকে যান শাকিব। চ্যাম্পিয়ন করেও সরতে হয় মনোজ তিওয়ারিকে

শেষ ওভারে জেতার জন্য কেকেআর-এর দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম দুটো বলে সিঙ্গল আসে। তৃতীয় বলে চার মারেন মনোজ। পরের বলেরও পরণিত হয় একই। দুটো চার মেরে কেকেআর-কে ট্রফি এনে দিয়েছিলেন বাংলার ছেলেই।

বাংলার ছেলে মনোজ তিওয়ারি। প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান সন্দেহ নেই। অতীতে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলে ছিলেন তিনি। একবার তো তাঁর ব্যাটে ভর করেই কেকেআর চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। হারিয়েছিল আবার চেন্নাই সুপার কিংগসকে। যে চেন্নাইকে হারানোর কথা কেউ ঘুণাক্ষরেও ভাবতেন না। ২০১২-র আইপিএলে চেন্নাইকে রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হারিয়েই প্রথমবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল কলকাতা শিবির। আর কলকাতার জয়ের কারিগর ছিলেন মনোজ তিওয়ারি। শেষ ওভারে জেতার জন্য কেকেআর-এর দরকার ছিল ৯ রান। প্রথম দুটো বলে সিঙ্গল আসে। তৃতীয় বলে চার মারেন মনোজ। পরের বলেরও পরণিত হয় একই। দুটো চার মেরে কেকেআর-কে ট্রফি এনে দিয়েছিলেন বাংলার ছেলেই। ক্রিজে তাঁর সঙ্গী ছিলেন বাংলাদেশের অলরাউন্ডার শাকিব আল হাসান। তিনি মনোজকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন। মনোজ নিজের কাজটা করে দিয়েছিলেন। পরের বার মনোজকে দলে রাখা হলেও ২০১৪-র মরসুমে মনোজ তিওয়ারিকে আর রাখেনি কলকাতা। সেবারও কলকাতা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। ২০১৪-য় মনোজ না-থাকলেও শাকিব ছিলেন দলে। শাকিব ভাল অলরাউন্ডার সন্দেহ নেই। কিন্তু একার হাতে তিনি কোনও ম্যাচ বের করতে পারেননি। একা জেতাতে পারেননি কলকাতাকে। খুব কঠিন পরিস্থিতি থেকে যদি ম্যাচ বের করে থাকেন, তাহলে তা মনোজই। এবং সেটা ২০১২-র ফাইনালে। অথচ বাংলার ক্যাপ্টেনকেই ছেঁটে ফেলেছিল কেকেআর ম্যানেজমেন্ট। শাকিবরা থেকে যান শাহরুখের দলে। বাদ পড়েন কলকাতার মনোজরাই।
বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে ভয় নেই। মুস্তাফিজুর কীসের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন জানেন?

বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে ভয় নেই। মুস্তাফিজুর কীসের ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকেন জানেন?

ওয়ার্নার ধারাভাষ্যকার রামিজকে বলেন, ‘‘মুস্তাফিজুর কেবল একটা কথাই বলে। ও বলে, বোলিং নো প্রবলেম। ব্যাটিং প্রবলেম অ্যান্ড স্পিকিং প্রবলেম।’’ মুস্তাফিজুরের দুর্বলতা বুঝে নিয়েছেন ওয়ার্নাররা।

মুস্তাফিজুর রহমান বিশ্বক্রিকেটে নতুন মুখ। ক্রিকেট আঙিনায় পা ফেলেই তিনি সাড়া ফেলে দিয়েছেন। ভারতের বিরাট কোহলিও নাকি তাঁর কাটার খেলতে পারেন না। আইপিএল খেলতে ভারতে এসে এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। শনিবার কিংগস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে দুরন্ত বোলিং করেছেন মুস্তাফিজুর। তাঁর বলের জবাব খুঁজে পাননি পঞ্জাবের ব্যাটসম্যানরা।
ম্যাচের সেরাও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বাঁ হাতি এই বোলার চার ওভারে ৯ রান দিয়ে দু-দুটো উইকেট তুলে নিয়েছেন। খেলার শেষে রামিজ রাজা ডেকে নেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ডেভিড ওয়ার্নারকে। অজি এই বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান এসে মজার এক তথ্য দেন মুস্তাফিজুর সম্পর্কে। বাংলাদেশের এই বোলার ইংরেজি জানেন না। তাই বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলতে সমস্যায় পড়েন।
ওয়ার্নার ধারাভাষ্যকার রামিজকে বলেন, ‘‘মুস্তাফিজুর কেবল একটা কথাই বলে। ও বলে, বোলিং নো প্রবলেম। ব্যাটিং প্রবলেম অ্যান্ড স্পিকিং প্রবলেম।’’ মুস্তাফিজুরের দুর্বলতা বুঝে নিয়েছেন ওয়ার্নাররা। সেই মতোই তাঁর পাশে এসে সবাই দাড়াচ্ছেন। মুস্তাফিজুরের জন্য নাকি হায়দরাবাদের অনেকেই বাংলা শিখবেন। ওয়ার্নারের কথা শেষ হতে না-হতেই ম্যাচের সেরা মুস্তফিজকে ডেকে নেন রামিজ। ইংরেজিতে সমস্যা রয়েছে বলে রামিজ রাজা তাঁকে বাংলায় কথা বলতে বলেন। কিন্তু মুস্তাফিজুর এতটাই নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলেন যে ভাল করে বাংলাতেও কথা বলতে পারেননি। কেবল বলেন, ‘‘গেমটা খুব ভাল হইছে।’’ রামিজ ব্যাপারটা হালকা করে দিয়ে বলেন, ‘‘তোমার বলই যখন কথা বলছে, তখন মুখে বেশি কিছু বলার দরকার নেই।’’
‘ছোটা ভীম’কে ভালবাসেন? জেনে নিন এই অ্যানিমেশনের জনপ্রিয়তার রহস্য

‘ছোটা ভীম’কে ভালবাসেন? জেনে নিন এই অ্যানিমেশনের জনপ্রিয়তার রহস্য

অ্যানিমেশন জগতের আর এক জনপ্রিয় চরিত্র পপাই-এর শক্তিবৃদ্ধি হত 'স্পিনাচ' বা পালংশাক খেলে। লাড্ডু খেয়ে ভীম-এর শক্তি বেড়ে যাওয়ার আইডিয়াটি সেখান থেকেই ধার করা। কিন্তু এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টির ভারতীয়করণ ঘটেছে।

‘ছোটা ভীম’ অ্যানিমেশান সিরিজ শুধু ছোটদের নয়, বহু প্রাপ্তবয়স্কেরও মন জয় করেছে। কিন্তু এই সিরিজের উল্লেখযোগ্য দিক কোনগুলি যার জোরে এই বিপুল জনপ্রিয়তা? আসুন জেনে নিই—
১. মনকাড়া চরিত্র: ভীম, চুটকি, রাজু, জগ্গু, ডোলু, ভোলু এবং কালিয়া— প্রত্যেকেই টিভি স্ক্রিনে এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় । চুটকি একটি ছোট্ট-মিষ্টি মেয়ে। রাজু ছোট ছেলে একটি— নেড়া মাথা, এবং ছোটখাটো চেহারা। জগগু বাঁদর হলেও তার জনপ্রিয়তাও কম কিছু নয়। কালিয়ার রঙ্গভঙ্গ নিয়ে অন্য বাচ্চারা সারাক্ষণ হাসিঠাট্টা করেই চলেছে। কিন্তু ঢোলু আর ভোলুর কাছে সেসব গ্রাহ্য নয়। তারা দুজন কালিয়ার চেলাগিরি করেই খুশি। বিভিন্ন মেজাজ ও মানসিকতার এই সমস্ত চরিত্র ‘ছোটা ভীম’-এর জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ।
২. টুনটুন মাসির হাতে তৈরি লাড্ডু: চুটকির মা তথা টুনটুন মাসির তৈরি করা এই লাড্ডুর বিশেষ গুণ রয়েছে। লোভনীয় চেহারার এই লাড্ডু খেয়েই ভীম গুন্ডা-বদমাশদের সঙ্গে লড়াই করবার শক্তি অর্জন করে। অ্যানিমেশন জগতের আর এক জনপ্রিয় চরিত্র পপাই-এর শক্তিবৃদ্ধি হত 'স্পিনাচ' বা পালংশাক খেলে। লাড্ডু খেয়ে ভীম-এর শক্তি বেড়ে যাওয়ার আইডিয়াটি সেখান থেকেই ধার করা। কিন্তু এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টির ভারতীয়করণ ঘটেছে। স্পিনাচ-এর জায়গায় এসেছে লাড্ডু, যা ভারতীয় শিশুদের অত্যন্ত সাধের মিষ্টি। তা ছাড়া, কোনও অলৌকিক উপায়ে এক সাদামাটা ছেলের হঠাৎ শক্তিবৃদ্ধি, এবং তার জোরে দুষ্টের দমন— এই কাহিনি-পরিকল্পনা ছোট-বড় সকলের ফ্যান্টাসিকে উস্কে দিতে বাধ্য।
৩. একতাই শক্তি: বন্ধুত্বের মহিমাকীর্তন এই অ্যানিমেশন সিরিজের প্রধান কথা। মানসিকতার পার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু সিরিজের মূল চরিত্রগুলো সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকে। আজকালকার দিনে বন্ধুত্বের এমন টান বোধহয় দুর্লভ। আর যা অলভ্য তার প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। ‘ছোটা ভীম’-এর জনপ্রিয়তার এটাও একটা কারণ।
৪. ভালর জয় মন্দের পরাজয়: অথবা সত্যের জয়, অসত্যের পরাজয়। এটাও আজকের সমাজে চট করে দেখা যায় না। আর সমাজজীবনের যা অপ্রাপ্তি দর্শকের সেই মনোগত ইচ্ছাপূরণ যদি একটা টিভি সিরিজের মাধ্যমে ঘটে তাহলে তা জনপ্রিয় হতে বাধ্য।
৫. নীতিকথার সংযোজন: সনাতন ভারতীয় উপকথা বা রূপকথার মতোই কাহিনির মোড়কে নীতিশিক্ষার একটা ব্যাপার ‘ছোটা ভীম’-এ জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সম্ভবত সেই কারণেই বাচ্চাদের এই সিরিজ দেখার ব্যাপারে বাবা-মারও অসম্মতি থাকে না।
নিশ্চিত ভবানীপুরেও সতর্ক তৃণমূল। আজ পদযাত্রা মমতার

নিশ্চিত ভবানীপুরেও সতর্ক তৃণমূল। আজ পদযাত্রা মমতার

মমতার কেন্দ্রে ভোটের জন্য সক্রিয় রয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। এদিনই নেত্রীর ঘনিষ্ঠদের উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতায় একটি আলাদা সভা করেছে তৃণমূল। নেত্রী না থাকলেও পরিকল্পনামাফিক দলের তরফে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের কাছে ভোটের আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

লোকসভা ভোটের নিরিখে পিছিয়ে থাকলেও ভবানীপুর বিধানসভা আসন নিয়ে নিশ্চিন্তেই ছিল তৃণমূল। কারণ, ওই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তবে সেখানেও চাপ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। এই চাপ যে কতটা, বৃহস্পতিবার দুপুরে তা টের পেয়েছেন নেত্রীর বিশ্বস্ত ফিরহাদ হাকিম। প্রচার শেষে ফিরে তিনি দেখেন, তাঁর বাড়িতে ভোট চাইতে এসেছেন দীপা। সৌজন্য বিনিময়ে সেই সাক্ষাত্ শেষ হলেও ভবানীপুরে এবার তৃণমূলের সক্রিয়তা বেড়েছে অনেকটাই। আজ, রবিবার প্রচারের শেষপর্বে নিজের কেন্দ্রে কোমর বেঁধে নামছেন তৃণমূলনেত্রী মমতাও। তিনটি ওয়ার্ডে পদযাত্রা করবেন তিনি।
রাজ্য জুড়ে দলের নির্বাচনী প্রচারে গত একমাস কার্যত বাড়ির বাইরেই কাটিয়েছেন মমতা। জঙ্গলমহলে শুরু প্রচারপর্ব শনিবার পৌঁছেছে হুগলিতে। তারপরই নিজের কেন্দ্রে এই কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় একাধিকবার ঘুরেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই পদযাত্রার জন্য অবশ্য দলের তরফে প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে ভবানীপুর বিধানসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। পরে তিনি পদত্যাগ করে আসনটি ছেড়ে দেন মমতাকে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়লেও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ভবানীপুরের ফল নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল। কম ভোটে হলেও ওই নির্বাচনে বিজেপি’র কাছে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। তখন থেকেই ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে দলের এক নেতার দাবি, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনে একটা আলাদা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গোটা দেশে বিজেপি’র পক্ষে যে হাওয়া তৈরি হয়েছিল, তার একটা প্রভাব পড়েছিল ভবানীপুরে। এবারের বিধানসভা ভোটে তা কোনওভাবেই কাজ করবে না।’’
উদ্বেগমুক্ত হতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল। সামগ্রিকভাবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নেত্রীর চোখ-কান হয়ে কাজ করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত একমাস গোটা রাজ্যে ঘুরে বেড়ালেও কলকাতায় তাঁর অন্যতম কাজ ছিল নেত্রীর আসন দেখভাল করা। শুধু তিনিই নন, এই কাজে বাড়তি দায়িত্ব ছিল নেত্রীর সাংসদ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদের উপর। ভবানীপুরে একাধিক কর্মসূচি করেছেন তাঁরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া এবং পদযাত্রায় দলের প্রধানের হয়ে ভোট চেয়েছেন এই দুই নেতাই।
তাছাড়াও মমতার কেন্দ্রে ভোটের জন্য সক্রিয় রয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। এদিনই নেত্রীর ঘনিষ্ঠদের উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতায় একটি আলাদা সভা করেছে তৃণমূল। নেত্রী না থাকলেও পরিকল্পনামাফিক দলের তরফে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের কাছে ভোটের আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
 হারানোর জন্য পড়ে রয়েছে সর্বস্ব

হারানোর জন্য পড়ে রয়েছে সর্বস্ব

জয় করার কিছু নেই। হারানোর জন্য পড়ে রয়েছে সর্বস্ব। আগামিকাল, সোমবার পঞ্চম দফার ভোটের আগে এই হল ‘দিদিজগতে’র ‘ক্যাচলাইন’!

জয় করার কিছু নেই। হারানোর জন্য পড়ে রয়েছে সর্বস্ব। আগামিকাল, সোমবার পঞ্চম দফার ভোটের আগে এই হল ‘দিদিজগতে’র ‘ক্যাচলাইন’!
উত্তর ২৪ পরগনায় ৩৩টি আসন এবং হাওড়ায় ১৬টি— সোমবার রাজ্যের যে ৪৯টি আসনে ভোট হতে চলেছে, তাতে ২০১১ সালে তৃণমূল (কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে) পেয়েছিল মোট ৪৪টি আসন। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল বলছে, তখনও তৃণমূল এগিয়েছিল মোট ৪৪টি আসনেই। 
সংখ্যার বিচারে মোট ৪৪। আসনের নামের নিরিখে খানিক এদিক-ওদিক। যেমন হাওড়ায় ২০১১ সালের বিধানসভা ভোটে ১৬টির মধ্যে ১৫টি আসনই পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি জোটসঙ্গী কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল প্রথমে পেয়েছিল ২৮টি আসন। পরে উপনির্বাচনে জিতে আরও একটি। অর্থাৎ, সোমবারের ভোটে যাওয়ার সময় উত্তর ২৪ পরগনায় ২৯টি আসন নিয়ে নামছেন মমতা। কংগ্রেস এবং বিজেপি একটি করে। বামেরা দু’টি। ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল এগিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার ২৮টি আসনে। বামেরা দু’টি এবং বিজেপি তিনটি আসনে। হাওড়ার ১৬টি আসনেও এগিয়ে ছিল তৃণমূল। 
অর্থাৎ, হরেদরে সেই ৪৪!
অর্থাৎ, ৪৯টি আসনের মধ্যে কার্যত নতুন করে জেতার কিছু নেই মমতার। কিন্তু তাঁর হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বেশ কয়েকটি আসন। 
রাজ্যে সাত দফা ভোটের মধ্যে চারটি দফা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। বাকি আরও তিনটি দফা। চার দফায় ভোট হয়েছে ১৬৭টি আসনে। বাকি আরও ১২৭টি আসনের ভোট। অর্থাৎ, ‘দিদি’র স্লগ-ওভার শুরু হয়ে যাচ্ছে সোমবারেই। তৃণমূলের অন্দরের এক ‘ভোট বিশেষজ্ঞে’র দাবি ওই ১৬৭টি আসনের মধ্যে অন্তত ৯৫টি আসন পাবেন তাঁরা। যদিও তাঁর সহকর্মীরাই তা মানতে নারাজ। তাঁদের এবং এমনকী, রাজ্য প্রশাসনেরও একাংশের মতে, ওই চার দফায় বড়জোর ৭০ থেকে ৮০টি আসন পেতে পারে শাসকদল। সেক্ষেত্রে ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৪৮টি আসনে পৌঁছতে গেলে বাকি ১২৭টি আসনের মধ্যে তৃণমূলকে আরও অন্তত ৮০টি আসন পেতেই হবে! অর্থাৎ, ‘স্ট্রাইক রেট’ ৮০ শতাংশ রাখলেও তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠ নাও-হতে পারে। 
ঘটনা হল, যে ১২৭টি আসনে এখনও ভোট বাকি (উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ার ৪৯টি আসন ধরে), সেখানে তৃণমূলের ‘রক্তক্ষরণে’র সম্ভাবনাই বেশি। কারণ, এর মধ্যে বেশিরভাগ আসন শহুরে এলাকায়। এর মধ্যেই রয়েছে কলকাতার চারটি আসন এবং কলকাতার লাগোয়া দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলির আসনগুলি। যা শহুরে অথবা মফস্সল এলাকা। যেখানে নারদ-কাণ্ডের ‘প্রভাব’ পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। 
কারণ, ওই আসনগুলির মধ্যে একটিতে প্রার্থী সারদা-কাণ্ডে জেলবন্দি মদন মিত্র। যাঁকে আবার ‘নারদনিউজে’র গোপন ক্যামেরা অভিযানেও টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনারই বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনিও নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত। পেশায় চিকিৎসক কাকলিকে অবশ্য ‘দিদি’ তাঁর ‘প্রিয় কাকলি’ বলেই সম্প্রতি প্রকাশ্যে অভিহিত করেছেন। যেমন তিনি ‘পাশে’ রয়েছেন মদনেরও। 
উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যে আছে বিধাননগরও। যেখানে গত পুরভোটে অবাধ ছাপ্পাভোট ও নাগরিক-নিগ্রহের পর থেকে সিঁটিয়ে তৃণমূল। রয়েছে রাজারহাট-নিউটাউন। যেখানে সিন্ডিকেট-দৌরাত্ম্যে দীর্ণ তৃণমূলের গায়ে কালির দাগ লেগেছে। 
অতএব, ‘উত্তুরে হাওয়া’য় জ্বর আসার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। 
আবার হাওড়ার সাংসদ প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জেলার উলুবেড়িয়ার সাংসদ সুলতান আহমেদও নারদ-কাণ্ডে অভিযুক্ত। বস্তুত, তাঁর ভাই খানাকুলের বিধায়ক ইকবাল আহমেদই ছদ্মবেশী সাংবাদিক ম্যাথু স্যামুয়েলকে দলের বিভিন্ন নেতার কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। বিরোধীদের দাবি, দুই জেলারই কলকাতা-লাগোয়া শহুরে এলাকায় ঘুষ-কাণ্ডের প্রভাব পড়তে বাধ্য। 
ফলে আগামী দু’টি দফার ভোট মমতার পক্ষে ‘সমস্যা-সংকুল’। একেবারে শেষদফায় গিয়ে তৃণমূল ঢুকবে তাদের ‘দুর্গ’ পূর্ব মেদিনীপুরে। তা-ও সেখানে অন্তত দু’টি আসনে হারের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছেন দলীয় নেতাদের একাংশ। 
প্রকাশ্যে অবশ্য নিশ্চিন্তে আদা-চা’য়ে চুমুক দিচ্ছেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (দিদির ‘বালু’)। শনিবেলায় তাঁর হিসাব, ‘‘অন্তত ৩১টা তো হবেই। ৩২টাও হতে পারে।’’ তাঁর নিজের কেন্দ্র হাবরা নিয়ে নিশ্চিন্ত বালু। শুধু তা-ই নয়, দলের অভ্যন্তরীণ সমীকরণের ভিত্তিতে জেলায় তাঁর সহযোদ্ধাদের ব্যাপারেও ‘গ্যারান্টি’ দিয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘উত্তুরে হাওয়া’য় কারও জ্বর-টর আসবে না! 
দলের একাংশ অবশ্য সারদা-কেলেঙ্কারির ‘প্রভাব’ নিয়ে চিন্তামুক্ত হতে পারছেন না। কারণ, এই অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণায় উত্তরের তিনটি মহকুমা বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমায় বিপুলসংখ্যক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। 
এবং নারদ-কাণ্ড!
জেলায় দলের প্রধান হিসাবে বালুর অবশ্য দাবি, ‘‘একটা আসনেও ওই ভিডিও ফুটেজের কোনও প্রভাব নেই।’’
কারণ, তাঁর কথায়, ‘‘সারদা বা নারদ নিয়ে মানুষ ভাবছেন না। বনগাঁ থেকে বিধাননগর বা বীজপুর থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। তাতেই বিরোধীরা হারিয়ে যাবে।’’ 
উত্তরে এবার দেগঙ্গা, হাড়োয়ার মতো কয়েকটি কেন্দ্রে প্রার্থী বদল করেও নিশ্চিন্ত থাকতে পারছে না তৃণমূল। বেশ খানিকটা নড়বড়ে বসিরহাট মহকুমার দু’টি আসনও। ব্যারাকপুর মহকুমাতেও দলের অভ্যন্তরীণ বিন্যাসের ছায়া রয়েছে অন্তত তিন-চারটি কেন্দ্রে। বালু যা প্রকাশ্যে বলতে পারছেন না, উত্তর ২৪ পরগনার সংখ্যালঘু ভোটারেরা তাঁদের থেকে সরে যাচ্ছেন বলে আশঙ্কায় রয়েছে শাসকশিবির। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের উর্দুভাষী মুসলিম তো বটেই, প্রত্যন্ত এলাকার বঙ্গভাষী সংখ্যালঘু ভোটারেরাও বিভিন্ন কারণে তৃণমূলের উপর বিরক্ত। যার উপর ভিত্তি করে সিপিএমের এক জেলানেতা বলছেন, ‘‘এখনই সংখ্যা বলছি না। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনায় বিরোধী জোটের আশাতীত ভাল ফল হবে।’’ যা ওই সিপিএম নেতা ভেঙে বলেননি— কংগ্রেসের হাত ধরে জেলায় সংখ্যালঘু ভোট ফেরানোর আশা করছেন তাঁরা।
উত্তর ২৪ পরগনায় আরও একটি ‘শক্ত জমি’তে ফাটল ধরেছে তৃণমূলের। এই জেলা থেকেই  মতুয়া সম্প্রদায়ের নতুন ‘ভোটব্যাঙ্ক’ আবিষ্কার করেছিলেন মমতা। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার কিছুদিন পর থেকেই সেই ভোটে ‘ভাঙন’ শুরু হয়। মতুয়া সম্প্রদায়ের মূল শক্তিকে দলের সঙ্গে রাখলেও তাতে ভাগ বসে গিয়েছে। নানাভাবে তা জোড়ার চেষ্টা করলেও মতুয়াদের উপর আগের মতো তৃণমূলের ‘একচ্ছত্র প্রভাব’ নেই বলে দাবি বিরোধীদের। 
হাওড়া জেলার সংখ্যালঘু ভোটারেরাও তৃণমূল সম্পর্কে ‘বীতশ্রদ্ধ’ বলেই দাবি বিরোধী জোটের। পাশের জেলা হুগলির ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকি লাগাতার বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতার। সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে লাভ হয়নি। জেলার এক গুরুত্বপূর্ণ দলীয় প্রার্থীর কথায়, ‘‘নির্বাচনের একেবারে মুখে এসে চাপ নিশ্চয়ই কিছুটা বেড়ে গিয়েছে।’’ 
দলের প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে হাওড়ায় সমস্যা গোড়া থেকেই। বালি এবং উত্তর হাওড়ায় দুই ‘অরাজনৈতিক’ প্রার্থী নিয়ে আসায় দলের অন্দরে চোরাস্রোত রয়েছে। বালিতে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রয়াত ক্রিকেট প্রশাসক জগমোহন ডালমিয়ার কন্যা বৈশালীকে। উত্তর হাওড়ায় দলের দীর্ঘদিনের নেতা তথা বিধায়ক অশোক ঘোষকে সরিয়ে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লকে। সেই ‘চর্চা’ এড়িয়েই কাজ করতে হয়েছে দুই কেন্দ্রের দলীয় নেতাদের।
শেষবেলায় ‘দিদি’র রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে দলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েনের ছবি-কেলেঙ্কারি। যে ছবিতে বিজেপি-সিপিএমের ‘ঘনিষ্ঠতা’ প্রমাণে কম্পিউটারের কারসাজিতে নরেন্দ্র মোদীর মুখে সিপিএমের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের মুখ বসিয়ে কেল্লাফতে করতে চেয়েছিলেন ডেরেক। ধরা পড়ার পর তৃণমূলের আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট থেকে ছবি তুলে নেওয়া হয়েছে বটে। কিন্তু তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। বালুকে বলা গেল, কলকাতা-লাগোয়া দুই জেলায় ডেরেক-কাণ্ডের প্রভাব পড়লে তাঁর অঙ্ক প্রশ্নের মুখে পড়ে যেতে পারে!
শনিবেলায় বালুর আদা-চা’টা আর শেষ হল না! ‘প্রিয় কাকলি’ দিদির জ্বর আটকাতে পারবেন তো?
এম এস ধোনির সম্পর্কে ১০টি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য

এম এস ধোনির সম্পর্কে ১০টি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য

ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনির সঙ্গে যখনই কোনও সফরে যান তখন সঙ্গে করে নিয়ে যান একটি বিদ্যুৎ-চালিত কুকার।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি ভারতীয় ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়ক একথা সকলেরই জানা। এখানে রইল  তাঁর সম্পর্কে এমন ১০টি তথ্য যা জানলে চমকে যাবেন অনেকেই—
১. ভারতীয় দলের এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ওয়ান ডে ক্রিকেট অভিষেক ঘটে ২০০৪ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে প্রথম বলেই রান আউট হয়ে যান মাহি।
২. ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী ধোনির মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৩০ মিলিয়ন ডলারের চেয়েও বেশি। সম্পত্তির বিচারে তিনি সচিন তেন্ডুলকরকেও ছাড়িয়ে গেছেন।
৩. আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের তিনটি প্রধান টুর্নামেন্টই ভারত জিতেছে ধোনির অধিনায়কত্বে— ২০০৭-এ টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১-এ ৫০ ওভারের ম্যাচের বিশ্বকাপ আর ২০১৩-এ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।
৪. ২০০৭ সালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে ধোনির নাম সুপারিশ করেন তেন্ডুলকর। ধোনির স্থির মানসিকতা, আর দলের সকলের সঙ্গে সদ্ভাব রক্ষার ক্ষমতাকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন সচিন।
৫. মাহি দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালাতে খুবই ভালবাসেন, তাঁর সংগ্রহে আছে ২৩টি মোটরবাইক ।
৬. ধোনি পৃথিবীর একমাত্র ক্রিকেটার যিনি দু’বার ‘আইসিসি প্লেয়ার অফ দি ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছেন।
৭. ধোনির স্ত্রী সাক্ষী ধোনির সঙ্গে যখনই কোনও সফরে যান তখন সঙ্গে করে নিয়ে যান একটি বিদ্যুৎ-চালিত কুকার।
৮. ছোটবেলায় নিজের স্কুলের ফুটবল টিমের গোলকিপার হিসেবেও খেলেছেন এমএসডি।
৯. তামিল ফিল্মস্টার নাগার্জুনের সঙ্গে মিলিতভাবে সুপারস্পোর্ট ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপের (মোটরবাইক রেসিং) একটি দল কিনেছেন ধোনি, এবং সেই দলের নাম দিয়েছেন মাহি রেসিং টিম ইন্ডিয়া।
১০. ২০০১ থেকে ২০০৩— দু’বছর খড়্গপুর স্টেশনে টিকিট চেকারের চাকরি করেছিলেন ধোনি।
শেক্সপিয়রের যে রহস্যগুলির আজও সমাধান হয়নি

শেক্সপিয়রের যে রহস্যগুলির আজও সমাধান হয়নি

কখনও তাঁকে বলা হচ্ছে রহস্য-কাল্টের প্রাণপুরুষ। কখনও তিনি আজব প্রতীকের ব্যবহার ঘটিয়ে নীরব। উইলিয়ম শেক্সপিয়রের প্রয়াণদিবসে তাঁকে স্মরণ করল এবেলা.ইন।
তাঁকে ঘিরে রহস্য কি কখনও ফুরবে না? না। তাঁর অস্তিত্ব, তিনি সত্যিই তাঁর নামে চলিত নাটক ও সনেটগুলি লিখেছিলেন কি না, সেই সমস্ত বহুচর্চিত তর্কে প্রবেশ করতে চাইছি না। উইলিয়ম শেসক্সপিয়র নামক ব্যক্তিটি ছিলেন-আছেন-থাকবেন ধরে নিয়েই একথা সাহস করে উত্থাপন করতে চাইছি যে, এখনও পর্যন্ত এই ইংরেজ প্রতিভাধরকে নিয়ে এমন কিছু রহস্য এই মরপৃথিবীতেই পাক খায়, যার কিনারা তেমনভাবে কেউ করে উঠতে পারেননি। ক্রমাগত ব্যাখ্যা, অতিব্যাখ্যা এবং আরও ব্যাখ্যার চাপে শেক্সপিয়র নামক এনিগমাটি সমাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন। সেগুলির সমাধান দূর অস্ত, সেগুলি যে ঠিক কী, তা-ই আজ পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা হয়নি।
দেখা যাক সেগুলির কয়েকটিকে।
• শেক্সপিয়রকে অনেকেই অকাল্ট-চর্চার এক গূঢ়পুরুষ বলে মনে করেন। ড্যান ব্রাউনের আলোড়ন তোলা উপন্যাস ‘দ্য দা ভিঞ্চি কোড’-এ পশ্চিমি জগতের সবথেকে রহস্যময় গুপ্তসমিতি ‘প্রায়রি অফ সিওন’-এর গ্র্যান্ডমাস্টার-তালিকায় শেক্সপিয়রের নাম রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ব্রাউনের দাবি শূন্যগর্ভ নয়। এই বিষয়ে বিস্তর লেখালেখি রয়েছে মাইকেল বেইগেন্ট, হেনরি লিঙ্কন এবং রিচার্ড লি-র গবেষণাগ্রন্থ ‘দ্য হোলি ব্লাড অ্যান্ড দ্য হোলি গ্রেল’-এ।
• ‘ম্যাকবেথ’-এ তিন ডাইনির উপস্থিতিকে প্রতিকী অর্থে না-দেখে অনেকেই শেক্সপিয়রকে প্রাক খ্রিস্টান রহস্যবাদী পৌত্তলিক সংস্কৃতির সঙ্গে ট্যাগ করেন। কতটা সত্য এই ট্যাগিং? অনেকে তো আবার এ কথাও বলেন, শেক্সপিয়র নাকি প্রাচীন ডাকিনীবিদ্যা বিষয়ে শিক্ষা নিয়েছিলেন।
• ‘হ্যামলেট’-এ পুরনো দুর্গ, মৃত রাজার প্রেতাত্মা, রহস্যময়ী রানি ইত্যাদি এলিমেন্ট যে পরিমণ্ডল তৈরি করে, তা ১৯ শতকের গথিক সাহিত্যে আকছার লভ্য। কিন্তু মহামতি সেক্ষপীর ১৬-১৭ শতকের মানুষ। কতটা রহস্যবাদী হলে ভবিষ্যতের গর্ভে ডুবে থাকা রহস্যকে এভাবে ব্যক্ত করা যায়?
• ‘আ মিডসামার নাইটস ড্রিম’-এ কেন অদ্ভুত মিস্টিক কুয়াশার ঢল? কারা এর চরিত্র? সত্যি সত্যি কী বলতে চায় এরা? কেনই বা এত মাম্বো-জাম্বোর ছড়াছড়ি এই নাটকে? তার উপরে এই নাটকেই শেক্সপিয়র প্রয়োগ করেছিলেন প্রাচীন গ্রিক মিথোলজির। সেটাই বা কেন, সঠিক জানা যায় না।
• বিভিন্ন নাটকে কেন ঘুরে ফিরে এসেছে পেঁচা? কী অর্থ এর?
• ‘টেম্পেস্ট’ তো প্রত্যক্ষভাবেই রহস্যবাদী কাল্টের কথা বলে। ইতিহাসবিদ ফ্রান্সেস ইয়েটস এই নাটককে বিষয়ে বিস্তর বক্তব্য রেখেছেন। সেই সময়ের অত্যন্ত রহস্যময় কাল্ট ‘রোজিক্রুশিয়ান’-দের সঙ্গে শেক্সপিয়রের ঘনিষ্ঠতার কথাও লিখেছেন তিনি। শেক্সপিয়রের সঙ্গে আর এক রহস্যবাদী প্রাচীন কাল্ট ফ্রিম্যাসনরি-র সম্পর্ক নিয়েও সরব বহু গবেষক। 
এয়ারহোস্টেসের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ককপিটে, চাকরি খোয়ালেন পাইলট

এয়ারহোস্টেসের সঙ্গে অন্তরঙ্গ ককপিটে, চাকরি খোয়ালেন পাইলট

এয়ারহোস্টেসকে নিয়ে ককপিটের দরজা বন্ধ করায় চাকরি গেল স্পাইসজেটের এক পাইলটের। কো-পাইলটকে বাইরে পাঠিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ককপিটে এয়ারহোস্টেসের সঙ্গে একাই থাকেন ওই বিমান চালক। পাইলটের সিটেও নিয়মবর্হিভূত ভাবে এয়ারহোস্টেসকে বসান তিনি। 

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে ব্যাঙ্কক-গামী বিমানে এই ঘটনা ঘটে। সেদিন রাতে ফিরতি বিমানেও তিনি একই কাণ্ড করেন বলে অভিযোগ। বিমানের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে অভিযুক্ত পাইলটকে। এছাড়াও কর্মস্থানে সহকর্মীর শ্লীলতাহানির দায়ও আনা হয়েছে তাঁর ওপর। সেদিন বিমানের প্রধান এয়ারহোস্টেসের উদ্দেশ্যে আপত্তিজনক ভাষা ব্যবহার করেছিলেন ওই বিমান চালক। প্রধান এয়ারহোস্টেস এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান। তাঁর অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত করতে গিয়েই বিমানের সুরক্ষাবিধি ভঙ্গের বিষয়টি সামনে আসে। এই ঘটনা কানে যেতেই দোষী পাইলটকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেন স্পাইসজেট চেয়ারম্যান অজয় সিং। 

তবে এতেই শেষ নয়। ওই পাইলটের জন্য আরও শাস্তির খাঁড়া অপেক্ষা করে রয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হলে পাইলটের লাইসেন্স ক্যানসেল করা হতে পারে। অর্থাত্‍ ভবিষ্যতে অন্য কোনও এয়ারলাইন্সের বিমানই চালাতে পারবেন না তিনি।

সানিয়ার পছন্দের পুরুষ কে জানেন?

সানিয়ার পছন্দের পুরুষ কে জানেন?

সানিয়া মির্জা এখনও অনেকের ড্রিম গার্ল। নয় নয় করে ছ বছর তিনি বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে। এখনও তাঁর আবেদন কমেনি।
সানিয়া মির্জা এখনও অনেকের ড্রিম গার্ল। নয় নয় করে ছ বছর তিনি বিয়ে করেছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে। এখনও তাঁর আবেদন কমেনি। এখনও সানিয়া অনেক পুরুষেরই স্বপ্নে আসেন। পুরুষদের না হয় পছন্দ সানিয়াকে। কিন্তু কোনওদিন তো জানা হয়নি কেমন পুরুষ পছন্দ সানিয়ার? সানিয়া নিজেই বরফ গলিয়ে বলছেন, ‘‘শক্তিশালী, পেশিবহুল চেহারার পুরুষকে আমার বেশি সেক্সি লাগে। স্কিনি চেহারা হলে আমার একটুও আকর্ষণীয় লাগে না। পেশিবহুল চেহারার আবেদন আমার কাছে সবসময়েই বেশি।’’
কলকাতায় খোদ ‘নারদ-কর্তা’। কী কী বললেন?

কলকাতায় খোদ ‘নারদ-কর্তা’। কী কী বললেন?

তাঁর নারদ-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। চাপে শাসক দল। এই ভোটের বাজারে তিনি কলকাতায় এসে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন।
তৃণমূল নেতারা ঘুষই নিয়েছিলেন, কোন অনুদান নয়। কলকাতায় এসে স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই বলে গেলেন নারদ নিউজের সিইও ম্যাথু স্যামুয়েল। ‘অনুদান হলে তো রসিদ থাকবে, ওঁরা রসিদ দিলেন না কেন’— প্রশ্ন তুললেন ম্যাথু। 
আদালতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে আগেই বলা হয়েছে, অভিযুক্ত নেতারা ঘুষ নয়, অনুদান নিয়েছেন। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই দাবি উড়িয়ে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ম্যাথু বললেন এই স্টিং অপরেশনের পিছনে তাঁর কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই ছিল না। তিনি বলেছেন, ‘‘ওঁরা টাকা নিয়েছিলেন এটা বাস্তব। আমি কোনও বেনিফিটই পাইনি। তৃণমূল তদন্ত করুক, পারলে খুঁজে বার করুক এই স্টিং অপরেশনের পিছনে কে রয়েছে। আমি শুধু দোষীদের শাস্তি চাই।’’ 
ম্যাথু আরও দাবি করেন, তাঁর কোম্পানি আইনি পথেই তৈরি। ব্রিটেনে রেজিস্টার্ড। দুবাইতেও তাঁর অফিস রয়েছে। কিন্তু শুধু তৃণমূলের বাছাই করা কিছু নেতার কাছেই তিনি স্টিং করতে গেলেন কেন? জবাবে ম্যাথু বলেছেন, প্রাথমিকভাবে মির্জা আর ইকবালের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁরা যাঁদের নাম করেছেন, তাঁদের কাছেই গিয়েছিলেন তিনি।
কহানি মে টুইস্ট। কোহলির সঙ্গে এ বার নাম জড়াল ...

কহানি মে টুইস্ট। কোহলির সঙ্গে এ বার নাম জড়াল ...

অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে বিরাট কোহলির প্রেমের কী অবস্থা? গোটা ভারত দু’ জনের সম্পর্কের রসায়ন জানতে চায়। কিন্তু কেউই তো এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।
অনুষ্কা শর্মার সঙ্গে বিরাট কোহলির প্রেমের কী অবস্থা? গোটা ভারত দু’ জনের সম্পর্কের রসায়ন জানতে চায়। কিন্তু কেউই তো এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। এর মধ্যেই ‘কহানি মে টুইস্ট’। কোহলির সঙ্গে নাম জড়াল কমল হাসানের কন্যা শ্রুতি হাসানের। তবে তা রিয়েল লাইফে নয়। রিল লাইফে। দিন কয়েকের মধ্যেই একটি বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে দেখা যাবে বিরাট কোহলি ও শ্রুতি  হাসানকে। এর আগে বিজ্ঞাপনে বিরাট ও অনুষ্কাকে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি একটি বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে বিরাটের সঙ্গে অনুষ্কা নন, উলটে শ্রুতি হাসানের সঙ্গেই চুক্তি সেরে ফেলেছেন বিজ্ঞাপনদাতারা। কিন্তু কেন অনুষ্কাকে বাদ দেওয়া হল? বিরাটের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের জল কতদূর গড়িয়েছে তার তল বোধহয় পেয়ে গিয়েছেন এ দেশের মানুষ। সেই কারণেই বিজ্ঞাপনদাতারা অনুষ্কা নয়,  শ্রুতিকেই বেছে নিয়েছেন কোহলির পার্টনার হিসেবে। শ্যুটিংয়ের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। বিরাট ও শ্রুতি হাসান ছাড়াও বিজ্ঞাপনে দেখা যাবে ক্রিস গেইল ও এবি ডিভিলিয়ার্সকে। 
নয়া বিতর্কে ধোনি। বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না

নয়া বিতর্কে ধোনি। বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না

গোটা দেশে তীব্র জলকষ্ট। আর প্রবল এই জলকষ্টের মধ্যেই ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জল অপচয় করছেন বলে অভিযোগ। আর তার জন্যই সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছেন মাহি।
গোটা দেশে তীব্র জলকষ্ট। আর প্রবল এই জলকষ্টের মধ্যেই ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি জল অপচয় করছেন বলে অভিযোগ। আর তার জন্যই সংবাদের শিরোনামে চলে এসেছেন মাহি। তৈরি হয়েছে তাঁকে নিয়ে প্রবল বিতর্কও। 
ঘটনাটা কী? ধোনির পৈতৃক ভিটে রাঁচিতে। আর সেই বাড়িতে রয়েছে একটি সুইমিং পুল। এই সুইমিং পুল ভর্তি করতে প্রতিদিন ১৫,০০০ লিটার জল দরকার হয়। অথচ হার্মু রোডের কলোনিতে জল না পেয়ে মানুষ অসন্তুষ্ট। তাঁরাই প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘পাঁচ হাজার মানুষ যেখানে জলকষ্টে ভুগছেন, সেখানে একটা বাড়িতে দৈনিক ১৫,০০০ লিটার জল পাঠানো হচ্ছে শুধু সুইমিং পুল ভর্তি করার জন্য!’’ কিন্তু ধোনি-ঘনিষ্ঠ এক জন এই অভিযোগকে নস্যাৎ করে দিয়ে বলছেন, ‘‘ধোনির পৈতৃক বাড়ির সুইমিং পুল সবসময় মোটেও ভর্তি থাকে না।’’ 

নয়া ‘অনুব্রত’ পরেশরাম। বিরোধী এজেন্টদের শোক পালনের হুমকি। দেখুন ভিডিও

আবার বেলাগাম তৃণমূল নেতা। এবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনা। তবে রেজ্জাক মোল্লার মতো নিছক মন্তব্য নয় রীতিমতো হুমকি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা যেন বীরভূম। অনুব্রত, মনিরুলদের সুরে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ। বিরোধী এজেন্টদের ছবি তুলে রাখুন মোবাইল ফোনে। ভোটের ফল বের হলে ওই এজেন্টদের এলাকায় শোক পালন হবে।
এমনই মারাত্মক হুমকি দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পরেশরাম দাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্যানিং থানার সামনেই এক নির্বাচনী জনসভায় বিরোধী দলের এজেন্টদের কার্যত খুনের হুমকি দিলেন। ভোটের দিন মোবাইল ফোনে বিরোধী দলের এজেন্টদের ছবি তুলে রাখতে নির্দেশ কর্মীদের। ১৯ শে মের পরে ছবি দেখে দেখে ওই এজেন্টদের এলাকায় শোক পালনের নিদান। 
শুধু তাই নয়, নির্বাচন কমিশনকে নরেন্দ্র মোদীর দালাল বলেও অভিহিত করেন এই তৃণমূলনেতা।