নিশ্চিত ভবানীপুরেও সতর্ক তৃণমূল। আজ পদযাত্রা মমতার

মমতার কেন্দ্রে ভোটের জন্য সক্রিয় রয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। এদিনই নেত্রীর ঘনিষ্ঠদের উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতায় একটি আলাদা সভা করেছে তৃণমূল। নেত্রী না থাকলেও পরিকল্পনামাফিক দলের তরফে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের কাছে ভোটের আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

লোকসভা ভোটের নিরিখে পিছিয়ে থাকলেও ভবানীপুর বিধানসভা আসন নিয়ে নিশ্চিন্তেই ছিল তৃণমূল। কারণ, ওই কেন্দ্রে দলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তবে সেখানেও চাপ রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জোট প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি। এই চাপ যে কতটা, বৃহস্পতিবার দুপুরে তা টের পেয়েছেন নেত্রীর বিশ্বস্ত ফিরহাদ হাকিম। প্রচার শেষে ফিরে তিনি দেখেন, তাঁর বাড়িতে ভোট চাইতে এসেছেন দীপা। সৌজন্য বিনিময়ে সেই সাক্ষাত্ শেষ হলেও ভবানীপুরে এবার তৃণমূলের সক্রিয়তা বেড়েছে অনেকটাই। আজ, রবিবার প্রচারের শেষপর্বে নিজের কেন্দ্রে কোমর বেঁধে নামছেন তৃণমূলনেত্রী মমতাও। তিনটি ওয়ার্ডে পদযাত্রা করবেন তিনি।
রাজ্য জুড়ে দলের নির্বাচনী প্রচারে গত একমাস কার্যত বাড়ির বাইরেই কাটিয়েছেন মমতা। জঙ্গলমহলে শুরু প্রচারপর্ব শনিবার পৌঁছেছে হুগলিতে। তারপরই নিজের কেন্দ্রে এই কর্মসূচি নিয়েছেন তিনি। তার মধ্যে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় একাধিকবার ঘুরেছেন তৃণমূলনেত্রী। এই পদযাত্রার জন্য অবশ্য দলের তরফে প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে। ২০১১ সালে ভবানীপুর বিধানসভা আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। পরে তিনি পদত্যাগ করে আসনটি ছেড়ে দেন মমতাকে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে মন্ত্রিসভা গড়লেও ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে ভবানীপুরের ফল নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল। কম ভোটে হলেও ওই নির্বাচনে বিজেপি’র কাছে পিছিয়ে পড়েছিল তৃণমূল। তখন থেকেই ভবানীপুর নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। তবে দলের এক নেতার দাবি, ‘‘গত লোকসভা নির্বাচনে একটা আলাদা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গোটা দেশে বিজেপি’র পক্ষে যে হাওয়া তৈরি হয়েছিল, তার একটা প্রভাব পড়েছিল ভবানীপুরে। এবারের বিধানসভা ভোটে তা কোনওভাবেই কাজ করবে না।’’
উদ্বেগমুক্ত হতে চেষ্টার ত্রুটি রাখেনি তৃণমূল। সামগ্রিকভাবে ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে নেত্রীর চোখ-কান হয়ে কাজ করছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত একমাস গোটা রাজ্যে ঘুরে বেড়ালেও কলকাতায় তাঁর অন্যতম কাজ ছিল নেত্রীর আসন দেখভাল করা। শুধু তিনিই নন, এই কাজে বাড়তি দায়িত্ব ছিল নেত্রীর সাংসদ ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ফিরহাদের উপর। ভবানীপুরে একাধিক কর্মসূচি করেছেন তাঁরা। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যাওয়া এবং পদযাত্রায় দলের প্রধানের হয়ে ভোট চেয়েছেন এই দুই নেতাই।
তাছাড়াও মমতার কেন্দ্রে ভোটের জন্য সক্রিয় রয়েছেন তৃণমূলের কাউন্সিলরেরা। এদিনই নেত্রীর ঘনিষ্ঠদের উদ্যোগে দক্ষিণ কলকাতায় একটি আলাদা সভা করেছে তৃণমূল। নেত্রী না থাকলেও পরিকল্পনামাফিক দলের তরফে ওই অঞ্চলের বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের কাছে ভোটের আবেদন পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।


EmoticonEmoticon